-6836496912d8c.jpg)
তদন্ত চলছে সাত দেশে
ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বহুমুখী তদন্ত শুরু হয়েছে। বিএফআইইউ, দ্য স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি (এসটিএআর), ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (আইএসিসিসি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাসেট রিকভারি (আইসিএআর) তদন্ত করছে। তাদের তদন্তে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে দেশে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ আটক করা হয়েছে। প্রকল্পের নামে বিদেশে ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা পাচার বা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। একাধিক তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫টি দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে রাজউকের ৬টি প্লট দখল; সূচনা ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন বা সিআরআই ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের দুর্নীতি; রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে ৪৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ; যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি ডলার বা ৩৭ হাজার কোটি টাকা পাচার এবং ৮টি সরকারি প্রকল্প থেকে ১৭৭ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগে কয়েকটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোয় এখন পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে দেশের ভেতরে ৮৮৭ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি এবং ১ হাজার ৪৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। অবরুদ্ধ করা হয়েছে ১ হাজার ৯৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পদ। এসব দুর্নীতির সপক্ষে সব ধরনের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে তদন্ত সংস্থাগুলো।