গাজীপুরে চন্দ্রার টাওয়েল টেক্স নামের একটি কারখানায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে গ্যাসের চাপ নেই বললেই চলে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিকল্প ব্যবস্থায় মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ টাওয়েল উৎপাদন করতে পারছে কারখানাটি। এতে রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারখানাটিতে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন।
বিষয়টি জানিয়ে টাওয়েল টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহাদাত হোসেন গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মাসে গড়ে ৬ লাখ ডলারের টাওয়েল রপ্তানি করি। উৎপাদনে ধস নামায় গত এক মাসে কোনো রপ্তানি করতে পারিনি। এতে সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধে একধরনের দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।’
গ্যাসের সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই দেশের শিল্পকারখানা ভুগছে। সংকট আরও আছে—ব্যাংকঋণের সুদের হার চড়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় পণ্যের চাহিদায়ও গতি কম। এসবের সঙ্গে দুর্নীতি, কর-জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, বন্দরে দীর্ঘ সময় লাগা ইত্যাদি সমস্যা তো আছেই।
সব মিলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি ভালো নয়। ব্যবসা ভালো না থাকলে, বিনিয়োগ বেশি না হলে বাড়তি কর্মসংস্থান তৈরি হয় না। বেকারত্ব বাড়ে। আবার কাজপ্রত্যাশীদের যেনতেন আয়ের উপায় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
এই প্রেক্ষাপটে আগামী ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করবেন। সংসদ না থাকায় এবার টেলিভিশনে বাজেট বক্তব্য দেওয়া হবে।