বিএনপি ও এনসিপি: ‘অপারেশন ক্ষমতার প্রিভিউ'

বিডি নিউজ ২৪ সালেহ উদ্দিন আহমদ প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫, ২০:৫৪

বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে এতদিন ঠান্ডা যুদ্ধ চললেও হঠাৎ তা উনুনের আঁচে উত্তপ্ত হয়ে চরমে পৌঁছে গেছে। কেন এই উত্তপ্ত যুদ্ধ? কারা এই উনুনে জ্বাল দিলেন, আর কারা ইন্ধন জোগালেন, তা নিয়ে পরে আলোচনা করব। প্রথমে দেখা যাক, এই লড়াইয়ের কারণ কী? দুটি দলই ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে দেশ এখন ফ্যাসিস্টমুক্ত এবং সকলেই গণতন্ত্রের সিঁড়ি ধরে এগোবে। কিন্তু হঠাৎ ওই সিঁড়ি রাজপথে চলে এল কেন? রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরুর আগেই কেন উভয়পক্ষ যুদ্ধের মেজাজে মাঠে নেমে পড়ল? সংক্ষেপে দুটি কারণ:


১. ছাত্রনেতারা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন, যদিও স্বল্প সময়ের জন্য। তারা আটঘাট বেঁধে নতুন দল গঠন করে ক্ষমতার পরিসর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে নির্বাচনকে কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখা যায় কিনা ওই চেষ্টাও করছেন বলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিযোগ। কিন্তু বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ আয়ত্তে নেওয়ার জন্য যেভাবে তৎপর হয়েছে, তাতে এনসিপি নেতারা ক্ষুব্ধ। নির্বাচন হয়নি, ভোট হয়নি—তাহলে মেয়র পদ কীভাবে তাদের হবে?


২. বিএনপি ১৯ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক হারিকিরি করার পর ক্ষমতা তাদেরই পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিনের জন্য ক্ষমতা ভাগাভাগি বা ‘কোয়ালিশন’ও হয়তো চলত, কিন্তু বিএনপিকে একেবারে ক্ষমতার কাছাকাছি যেতে না দেওয়ার চেষ্টা কীভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব?


আসলে এই দুটি বিষয় একই আয়নার এদিক-ওদিক। উভয় দলই ক্ষমতার জন্য লড়ছে। বিএনপি শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে এবং অংশ নিয়েও পস্তিয়েছে। অনেক নির্বাচন বয়কটও করেছে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা সফল হয়েছে। তাপসের পলায়ন, বিচারকদের সম্মতি, নির্বাচন কমিশনের অনাপত্তি— সব মিলিয়ে এই নির্বাচন তখন না হলেও এখন বিএনপির জন্য সৌভাগ্য বইয়ে এনেছে। ভাগ্যিস তারা তখন এই নির্বাচনটা বয়কট করেনি!


যারা ক্ষমতা চাই না, বা বলা ভালো, যারা ক্ষমতা পায় না, তাদের জন্য এটা বড় দুর্ভোগ। সিটি করপোরেশনে আমাদের কত কাজ! বিল আটকে আছে, দেনদরবার ফাইনাল, এখন শুধু চেকের অপেক্ষা। না পেলে সাব-কন্ট্রাক্টররা হয়তো পেটাতে আসবে। ট্রেড লাইসেন্স, পানির লাইনের জন্য রাস্তা কাটার পারমিট, জন্ম সনদ—এসবের কী হবে? শাহবাগ পিজি হাসপাতালে যেতে চান? রাস্তা বন্ধ। রোগীদের অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু রোগীরা অপেক্ষা করবে কি না, কে জানে!


ওই শেখ হাসিনার আমলে ইমরান এইচ সরকাররা যে শাহবাগ খুলেছিলেন, তারপর আর বন্ধ হয়নি। কত কত লোকের দাবি দাওয়া জানাতে কত সুবিধা এখন। যারা ইমরানদের গণজাগরণ মঞ্চকে পছন্দ করতেন না বা শাহবাগকে আগে ঝামেলামুক্ত রাখতে বিবৃতি দিয়েছেন, তারাও এখন দাবি-দাওয়া নিয়ে শাহবাগেই ধরনা দিচ্ছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও