দুই ইস্যুতে মাঠ গরম

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৫, ০৮:৩০

বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে কয়েক দিন ধরে টানা আন্দোলন করছেন তাঁর সমর্থকেরা। বিষয়টি নিয়ে সরব বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারাও। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে গতকাল বুধবার ইসি কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই সমাবেশ থেকে এনসিপির নেতারা ইশরাক ইস্যুতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কর্মসূচির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। দুই পক্ষের উত্তপ্ত বক্তব্য ও কর্মসূচিতে গরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।


ইশরাক হোসেনকে মেয়রের চেয়ারে বসাতে চলমান আন্দোলনের সপ্তম দিন গতকাল বুধবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেন বিএনপির নেতা- কর্মীরা। ইশরাক সমর্থকদের আলটিমেটামে সরকার সাড়া না দেওয়ায় সকাল ১০টার পর থেকে মিছিল নিয়ে নগর ভবনসংলগ্ন সড়কে জড়ো হন তাঁর সমর্থকেরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড় ও কাকরাইলে এসে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।


বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাকরাইল মোড়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার প্রবেশপথের কাছাকাছি অবস্থান নেওয়ার কিছুক্ষণ আগে যমুনার দিকে যাওয়ার পথ আটকে দেয় পুলিশ। বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সড়ক অবরোধের কারণে রাজধানীর শাহবাগ, গুলিস্তান, প্রেসক্লাব, পল্টনসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।


নির্বাচন কমিশনে অবস্থান কর্মসূচি এনসিপির


ইশরাকের সমর্থকেরা গতকাল যখন যমুনা অভিমুখে কর্মসূচি করছিলেন, তখন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এনসিপি নেতারা। এই সমাবেশ থেকে তাঁরা ইশরাক ইস্যুতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কর্মসূচির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।


সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন না হওয়ায় সারা দেশে নাগরিক সেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সরকারি প্রশাসনিক কার্যালয়গুলো একটি দলের দখলে চলে যাচ্ছে।


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অচলাবস্থার উদাহরণ টেনে সারোয়ার তুষার বলেন, এ অবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। তাদের এ-সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ছিল। কিন্তু তারা কোনো রহস্যজনক কারণে মামলার বিবাদী হওয়ার পরও আপিল না করে গেজেট প্রকাশ করেছে। এই নির্বাচন কমিশনকে আর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা যাচ্ছে না। এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও