পাওনা বুঝে নিয়েও কাজ শুরু করছে না মার্কিন কোম্পানি শেভরন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৫, ১১:৩৪

দেশে তিন দশক ধরে ব্যবসা করছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন। বিগত সরকারের আমলে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নিলেও বিল বকেয়া পড়ায় নতুন বিনিয়োগ বন্ধ করে দেয় তারা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের পুরো বকেয়া পরিশোধ করেছে। এরপরও কাজ শুরুর পরিকল্পনা জমা দেয়নি কোম্পানিটি।


বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, চলমান গ্যাস–সংকট মেটাতে উৎপাদন বাড়ানোয় জোর দিয়েছে সরকার। কিন্তু এতে সহায়তা করছে না শেভরন। জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে কম্প্রেসর বসানোর কথা তাদের। এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ এখন কাজ শুরু করতে গড়িমসি করছে।


গত বছরের ৪ এপ্রিল পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়ে শেভরন বলে, বকেয়া বিল পুরোপুরি শোধ না করা পর্যন্ত জালালাবাদ কম্প্রেসর প্রকল্পের বিনিয়োগ পিছিয়ে দিচ্ছে তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় (৫ আগস্ট) পর্যন্ত শেভরনের বকেয়া ছিল ২৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতি মাসের নিয়মিত বিলের পাশাপাশি গত ১৭ এপ্রিল বকেয়ার পুরোটা শোধ করে দেয়।


এরপর ২০ এপ্রিল শেভরনকে এক চিঠিতে পেট্রোবাংলা বলেছে, যেহেতু সব বকেয়া শোধ করা হয়েছে, শেভরন দ্রুত জালালাবাদে কাজ শুরু করবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।


৩০ বছর ব্যবসা করেও মাত্র কয়েক মাসের বিল বকেয়া থাকায় কেন জালালাবাদে বিনিয়োগ বন্ধ করা হলো? কবে তারা কাজ শুরু করবে, কবে শেষ হবে? এর জবাবে শেভরনের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সুনির্দিষ্ট ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রকাশ করে না শেভরন। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে পারস্পরিক সুবিধা লাভের সুযোগ নিয়মিত মূল্যায়ন করে তারা। তবে দীর্ঘমেয়াদি নীতি অনুসারে, শেভরন বাংলাদেশে তার বাণিজ্যিক বিষয়গুলোর সুনির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও