You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সব আম কি বিষে ভরা

রাজধানীতে সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। দেখতে গোলাকার, হলুদ ও হালকা সবুজ রঙের। আমের এমন রং দেখে একদিন কিনতে ইচ্ছা হলো। এমন সময় আমার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিটি বললেন, এসব আমে ফরমালিন এবং কেমিক্যাল মেশানো হয়েছে। বাচ্চাদের জন্য না নেওয়াই ভালো। আমি বললাম, চাষিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরায় হিমসাগর আম পাড়ার সময় পাঁচ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সময় অনুযায়ী ১৫ মে থেকেই আম সংগ্রহ ও বাজারজাত শুরু হয়ে গেছে। এখন তো কেনা যাবে। তবু তিনি কিনতে বাধা দিলেন।

আসলে, আম যে শুধু তার স্বাদের জন্য অনন্য, তা নয়। এ ফলটি বিশেষ পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। কিন্তু পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও নানা অপপ্রচারের কারণে অনেকেই আম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। আবার বাজারে আম কিনতে গেলে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন এই ভেবে, তিনি যে আমটি কিনছেন, সেগুলো রাসায়নিক উপাদান দিয়ে পাকানো কি না? এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, প্রতিনিয়তই বাজারে এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। তবে এমন নেতিবাচক ধারণা একটা সময় ছিল না। ছোটবেলায় মধ্য মে থেকে আগস্টে আম, জাম, কাঁঠালের স্বাদ নিতে আমরা অপেক্ষা থাকতাম। আর এখন পাকা আম বাজারে এলেই অনেকের মনে নানা প্রশ্ন চলে আসে। অনেকের মধ্যেই ভয় বা বিভ্রান্তি কাজ করে।

তবে কি আমরা আম খাওয়া ছেড়ে দেব? আমার উত্তর, মৌসুমে আম মৌসুমে খেতে হবে। আমার ধারণা, আমচাষিরা এ ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল অন্তত ভরা মৌসুমে দেয় না। কারণ, ভরা মৌসুমে আম এমনিতেই পরিপক্ব থাকে এবং আম আধা পাকা অবস্থায় গাছ থেকে পাড়া হয়। এরপর ট্রান্সপোর্টের সময়টুকুতে আম এমনিতেই পেকে যায়। তাই ভরা মৌসুমে টাকা খরচ করে ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে আম পাকানোর কোনো প্রয়োজনই দেখি না। আর ভরা মৌসুমে প্রচুর আম বিক্রি হয়, দোকানে স্টক থাকে না। প্রচুর আম আসে, তেমনি প্রচুর আম বিক্রিও হয়ে যায়।

ইতোমধ্যে পরিপক্ব আম বাজারজাতে সূচি ঘোষণা করে আসছে স্থানীয় প্রশাসন। সূচি অনুযায়ী আম কিনলে কোনো ভয়ের কারণ নেই। সাতক্ষীরা অঞ্চলের গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, বোম্বাই, গোলাপখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম বাজারে আসতে শুরু করেছে। ২৭ মে থেকে পাওয়া যাবে ল্যাংড়া। ৫ জুন থেকে বাজারে উঠবে আম্রপালি জাতের আম। তবে যেসব এলাকায় আবহাওয়ার প্রভাবে আম অগ্রিম পরিপক্ব হয়েছে, সেখানে কৃষি বিভাগ থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে আম বাজারজাত করা যাবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন