ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে থেকে নিয়মিত দেশ ধ্বংশের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তিনি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। রাজনীতির মাঠে সব কূল হারানো আওয়ামী লীগ নয়া কৌশলে মাঠে নেমেছে। নিজেরা ভালো নেই বলে তারা কাউকে ভালো থাকতে দেবে না-ঠিক যেন এমন শপথ নিয়ে ফেলেছে দলটির দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে থাকা মাস্টারমাইন্ডরা। যার স্পষ্ট আলামতসহ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে যথেষ্ট পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সার্বিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কয়েকজন যুগান্তরের কাছে এমন অভিমত দিয়েছেন।
তারা বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে-ষড়যন্ত্রকারী চক্রটি সরকারকে বিপদে ফেলতে প্রতিটি আন্দোলনকে বেছে নিচ্ছে। আন্দোলনের যৌক্তিকতা থাকুক বা না থাকুক তারা সেখানে কৌশলে তাদের লোকজনকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। উদ্দেশ্য-সরকারবিরোধী বড় ধরনের বিক্ষোভের প্লট তৈরি করা। আর এক্ষেত্রে পলাতক আওয়ামী লীগের অন্যতম টার্গেট ছাত্রদের মতো স্পর্শকাতর আন্দোলনকে পুঁজি করা। অন্তর্বর্তী সরকারের গত আট মাসের অসংখ্য আন্দোলনের গতিপথ পর্যালোচনায় এমন দৃশ্যপট বারবার ধরা পড়ছে। এজন্য তারা মনে করছেন, যেখানে আন্দোলন সেখানেই ফ্যাসিবাদের গোপন ছায়া। এজন্য সরকারসহ দেশপ্রেমিক সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।