স্থবির অর্থনীতিতে বিনিয়োগ বাড়বে কীভাবে

বিডি নিউজ ২৪ হাসান মামুন প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ১৪:৪২

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে না কেন, তা নিয়ে অনেকে হা-হুতাশ করেন। বিদেশি বিনিয়োগ পরিস্থিতি তো অনেকদিন ধরেই খারাপ। হালে এটা আরও খারাপ হয়েছে। সেটা হওয়ারই কথা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির। কবে নাগাদ সুস্থির হবে, সেটাও কেউ বলতে পারছে না। এর চিরাচরিত বাধাগুলোও রয়ে গেছে। নতুন নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) অবশ্য কাজ করে চলেছে। বর্ণাঢ্য বিনিয়োগ সম্মেলন হয়েছে দেশে। তাতে কত টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে, সেটা বড় নয়। বিনিয়োগকারীদের কাছে নতুন কী বার্তা পৌঁছানো গেল, সেটাই বড়।


বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও খুঁজে বেড়ান এর উপযুক্ত ক্ষেত্র। তারা প্রথম চান বিনিয়োগের নিরাপত্তা। তারপর দেখেন, কতখানি মুনাফা করা যাবে। মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে কিনা, সেটাও। আর বিদেশিরা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে বিশ্বাসী। এ অবস্থায় তারা চান ‘নীতির ধারাবাহিকতা’। কোনো দেশের কর্তৃপক্ষ ঘন ঘন নীতি বদলালে তারা আস্থা হারান। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ কেবল বিডার নয়। সরকারকে এ লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।


আমরা এখন একটা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আছি। এ ধরনের সরকারের অভিজ্ঞতা বিদেশিদের জন্যও নতুন। এর আগে এক-এগারোয় আরেকটি অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্য পেয়েছিলাম। সেটার চেয়েও বর্তমান সরকার ভিন্ন প্রকৃতির। প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। দেশে একটা নজিরবিহীন রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে গেছে। সাড়ে ১৫ বছর একনাগাড়ে দেশ চালানো রাজনৈতিক দলটি মাঠে অনুপস্থিত। হালে তাদের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।



পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট রোডম্যাপ এখনও মেলেনি। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলেও তাতে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর নিয়ে সন্দেহ আছে অনেকের মনে। অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জল্পনাও কম ভেসে বেড়াচ্ছে না। তার মানে, রাজনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। এটা হয়তো কাটবে সরকার রোডম্যাপ সুস্পষ্ট করলে। এ অবস্থায় অনেকে বলছেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হয়ে যাওয়াই ভালো। এতে নির্বাচনপ্রত্যাশী দলগুলোই কেবল আশ্বস্ত হবে না। আশ্বস্ত হবেন বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যে দেশি বিনিয়োগকারীরাও আছেন। অর্থনীতিতে এসব বিনিয়োগকারীর ভূমিকা তো গুরুত্বপূর্ণ।


দেশি বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ‘আমরা বিনিয়োগে উৎসাহী না হলে বিদেশিরা আসবেন কেন’? দেশি, বিদেশি উভয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শর্তগুলোও প্রায় অভিন্ন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এর মধ্যে প্রধান বলে বিবেচিত হচ্ছে। তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না থাকলে বিনিয়োগ হবেই না, তা নয়। বিনিয়োগকারীরা আসলে দেখতে চান, বর্তমান সরকারটি কতদিন থাকবে আর নীতির ধারাবাহিকতা থাকবে কিনা। অন্তর্বর্তী সরকার যদি একটা গণভোট দিয়ে চার-পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ স্থির করে নেয় এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে বড় কর্মসূচি ঘোষণা করে, তাহলেও হয়তো দেখা যাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে।


নির্বাচনপ্রত্যাশী দলগুলো অবশ্য গণভোটের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে না। বিশেষত যারা মনে করে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই ক্ষমতায় যাবে। রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যেতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক। রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে না পারলে তার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে কীভাবে? রাজনৈতিক দল তার ‘আদর্শ’ বাস্তবায়নেও ক্ষমতায় যেতে চাইবে। বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা অবশ্য সব দলই বলছে। তবে কোনো কোনো দল ক্ষমতায় এলে নারীর কর্মসংস্থানে জটিলতা সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। যে দেশে নারী ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে শ্রমবাজারে উপস্থিত, সেখানে সংশ্লিষ্ট দলকেও ব্যাখ্যা করে বলতে হবে– নারী কর্মীর বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও