
মূল ব্যবসার চেয়ে বিনিয়োগ আয় বেশি এনসিসি ব্যাংকের
সরকারি ট্রেজারি বিল–বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এনসিসি ব্যাংক তিন মাসে ২১৩ কোটি টাকা সুদ আয় করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি–মার্চ প্রান্তিকে এ সুদ আয় করেছে ব্যাংকটি। গত বছরের একই সময়ে এই খাত থেকে ব্যাংকটির আয় ছিল ১৩২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে সরকারি ট্রেজারি বিল–বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির আয় ৮১ কোটি টাকা বা প্রায় ৬১ শতাংশ বেড়েছে। তাতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ১১ কোটি টাকা বা ৬৫ শতাংশ।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এনসিসি ব্যাংক ২৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তাতে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ পয়সায়। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ১৭ কোটি টাকা। আর ইপিএস ছিল ১৫ পয়সা। গতকাল সোমবার ব্যাংকটির পক্ষ থেকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। সে প্রতিবেদন থেকে ব্যাংকটির মুনাফা ও আয়–ব্যয়ের এসব তথ্য জানা যায়। গত শনিবার অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এনসিসি ব্যাংক ঋণের সুদ বাবদ আয় করেছে ৬২৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৪৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ঋণের সুদ বাবদ ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৮৩ কোটি টাকা বা প্রায় সোয়া ১৫ শতাংশ। ঋণের সুদ আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আমানতের সুদ বাবদ ব্যয়ও বেড়েছে ব্যাংকটির। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এনসিসি ব্যাংক আমানতের সুদ বাবদ ব্যয় করেছে ৪৮০ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৬৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আমানতের সুদ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ১১৫ কোটি টাকা বা সাড়ে ৩১ শতাংশ। ঋণের সুদ আয়ের তুলনায় আমানতের সুদ ব্যয় বেশি হওয়ায় ব্যাংকটির মূল ব্যবসা থেকে আয় আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ব্যাংকটি প্রকৃত সুদ আয় করেছে ১৪৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে প্রকৃত সুদ আয় ছিল ১৭৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে সুদ বাবদ প্রকৃত আয় কমেছে ৩১ কোটি টাকা। তারপরও ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে মূলত সরকারি ট্রেজারি বিল বন্ড থেকে আয় বৃদ্ধি পাওয়ায়।