
স্বাস্থ্যে সংস্কার কতটা সম্ভব?
বছরের পর বছর ধরে ভুগতে থাকা দেশের স্বাস্থ্য খাতে গুণগত পরিবর্তন আনতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করার পদক্ষেপ চায় সংস্কার কমিশন। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আইন সংস্কার, নতুন আইন তৈরির প্রস্তাবও এসেছে। তবে কাঙ্খিত সংস্কারের পথ পেরিয়ে ভঙ্গুর এ খাতের স্বাস্থ্য কতটা ফেরানো যাবে সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।
কমিশনের সুপারিশগুলোকে এ খাতের দাওয়াই হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্যখাত বিশেষজ্ঞরা। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চেহারা পাল্টে যাবে। তবে বর্তমান বাস্তবতায় সব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা কঠিন বলে মনে করছেন তারা।
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার কমিশনের এক গুচ্ছ সুপারিশের অনেক ভালো কিছুর ভিড়ে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় কমিশন এড়িয়ে গেছে বলেও পর্যবেক্ষণ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
প্রস্তাবের বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলেই প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো শতভাগ বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে, একসাথে করাও যাবে না। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজটা শুরু করতে হবে।
”আমরা বলেছি বাস্তবায়নে যদি আমাদের হেল্প চায় আমরা তা সানন্দে করতে রাজি আছি।”
এ কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ার মাধ্যমে গণ অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে দুই ধাপে গঠিত ১১ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এল।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- স্বাস্থ্য খাত
- সংস্কার কাজ