
বড় সংস্কার করতে হবে নির্বাচিত সরকারকে
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বড় সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে লাগবে দীর্ঘ সময়। এজন্য সংস্কারের এসব দায়িত্ব পড়বে নির্বাচিত সরকারের ওপর। তাদের ওপরই নির্ভর করবে বড় সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য ১১টি কমিশন গঠন করে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। গণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গত ৩ অক্টোবর এ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় সংস্কার কমিশন।
সংস্কার প্রতিবেদনকে মোট ১৭টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের আচরণগত সংস্কার, নাগরিক পরিষেবা উন্নয়নে জনপ্রশাসন, জনপ্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত পুনর্গঠন (মন্ত্রণালয়/দপ্তর পুনর্বিন্যাসকরণ), সিভিল সার্ভিসের কাঠামো ও প্রক্রিয়াগত সংস্কার, জনপ্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সংস্কার, জনপ্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংস্কার, জনপ্রশাসনের নৈপুণ্য বিকাশ ও সক্ষমতার উন্নয়ন, কর্মদক্ষ জনপ্রশাসনের জন্য সংস্কার, জনপ্রশাসনে কার্যকারিতার লক্ষ্যে সংস্কার, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস সংস্কারে বিশেষ সুপারিশমালা, বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস সংস্কারে বিশেষ সুপারিশমালা, পার্বত্য এলাকার জনপ্রশাসন সংস্কারে বিশেষ সুপারিশ, জনপ্রশাসনে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে সংস্কার প্রস্তাব।