
আগামী সপ্তাহ থেকে ইলিশ আহরণ বাড়তে পারে
অভয়াশ্রমে টানা দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশাল অঞ্চলের নদ-নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন জেলেরা। বিভিন্ন মাছ ধরা পড়লেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে কম।
জেলেরা বলছেন, জালে ধরা পড়ছে রামছোছ (তপসি), বেলে আর চিংড়ি। ইলিশ তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও আশার আলো দেখছে মৎস্য অধিদপ্তর। তাদের মতে, জাটকা বড় হয়ে সাগরে চলে গেছে। বৃষ্টির দেখা মেলায় আগামী সপ্তাহেই ইলিশ ও পাঙাশের আহরণ বাড়তে পারে।
গত মার্চ ও এপ্রিলে ইলিশের ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ এবং সদর উপজেলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও কীর্তনখোলা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা। দুই মাসে নদ-নদীতে ব্যাপক অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়া। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ষষ্ঠ অভয়াশ্রমে নার্সিং শেষে জাটকার বড় অংশ সাগরের পথে চলে গেছে।
ষষ্ঠ অভয়াশ্রমের প্রধান দুই উপজেলা হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত অক্টোবরে মা ইলিশ যে ডিম ছেড়েছিল, তা রক্ষার জন্য অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে জাটকা নার্সিংয়ের জন্য এ দুই মাস বিধিনিষেধ ছিল।
মোহাম্মদ আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাটকা বড় হয়ে দুই মাসে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি আকারের হয়ে গেছে। এর বেশির ভাগ সাগরে চলে গেছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ইলিশ আহরণ
- নিষেধাজ্ঞা স্থগিত