
নাহিদ রানা: গোল্ড, পিওর গোল্ড
‘গোল্ড, পিওর গোল্ড’…নাহিদ রানাকে নিয়ে লিখতে বসে ড্যানি মরিসনের কথাটা বারবার কানে বাজছে। গোল্ড, পিওর গোল্ড…।
ড্যানি মরিসনকে কি পরিচয় করিয়ে দিতে হবে? সাবেক কিউই পেস বোলার। ৪৮টি টেস্ট খেলেছেন, ৯৮টি ওয়ানডে। তবে তরুণ ক্রিকেট অনুসারীদের কাছে তিনি কথায় কথায় মজা করা এক ধারাভাষ্যকার। বলে ভালোই গতি ছিল, তবে যে সীমানাটা পেরোলে ফাস্ট বোলার বলা যায়, সেই লক্ষ্মণরেখা পেরোতে পারেননি। এ কারণেই হয়তো নাহিদ রানার মহিমাটা ড্যানি মরিসন আরও ভালো বোঝেন। নাহিদ রানা সম্পর্কে বলেন, ‘গোল্ড, পিওর গোল্ড।’
ক্রিকেটে এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলাররা আসলেই তা–ই। ‘এক্সপ্রেস’ কথাটা খেয়াল করতে বলি। বলের গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পেরোলেই তাঁকে আপনি ফাস্ট বোলার বলে ফেলতে পারেন। তবে এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলার বলতে হলে অন্তত ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতি চাই। এমন না যে, এটার নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা আছে, ‘একজন বোলার ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করিলে তাহাকে এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলার বলা হইবে।’ এসব পরিভাষা মুখে মুখে হয়েছে। তা এই এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলারদের বলতে পারেন ক্রিকেটের সবচেয়ে অমূল্য রত্ন। চেষ্টাচরিত্র করে কারও বলের গতি হয়তো একটু বাড়ানো যায়, কিন্তু এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলার তৈরি করা যায় না। এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলাররা গতির ঝড় তোলার সহজাত ক্ষমতা নিয়ে জন্মান।
নাহিদ রানাকে নিয়ে লিখতে বসে ‘ফাস্ট বোলিং কাহাকে বলে এবং উহা কত প্রকার ও কী কী’ টাইপ রচনা ফেঁদে বসায় বিরক্ত হতে পারেন। কিন্তু উপায় নেই। কারণ, নাহিদ রানার অনন্যতা ওই গতিতেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ১৪০ কিলোমিটারের বোলার বেশ কজনই এসেছেন, এখনো আছেন। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ১৪৫ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করে প্রায়ই সেটিকে ১৫০ কিলোমিটার ছুঁই ছুঁই করে ফেলা বোলার এর আগে কখনো আসেনি। বাংলাদেশের পটভূমিতে নাহিদ রানা তাই হয়তো ‘গোল্ড, পিওর গোল্ড’–এর চেয়েও বেশি।
- ট্যাগ:
- খেলা
- ক্যারিয়ার
- ক্রিকেটার
- নাহিদ রানা