বাদ যাচ্ছে শেখ হাসিনার পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতা

যুগান্তর প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২৫, ০৮:৩৪

পতিত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নেওয়া ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাদ যাচ্ছে শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম। এর অধিকাংশই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার নামে নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এসব নাম ব্যবহার করে ওই সময়ে প্রকল্পের দ্রুত অনুমোদন, পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেওয়া, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করা সহজ ছিল বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এসব নাম গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছিল। এখন নামবদলের কারণে প্রকল্পগুলো বন্ধের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস।


ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, এর নেপথ্যের সাইকোলজি ছিল শেখ পরিবারের নাম থাকলে প্রথমত প্রকল্প অনুমোদন পাওয়া সহজ হতো। এছাড়া প্রস্তাবিত কম্পোনেক্টগুলো কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা হতো না। পাশাপাশি বাস্তবায়ন পর্যায়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করলেও পার পাওয়ার সুযোগ ছিল। সব মিলিয়ে বলা যায়, শেখ পরিবারের নাম থাকায় চুরিচামারির সুযোগ হতো। গত ১৫ বছরে একজন ব্যক্তির (বঙ্গবন্ধু) নামে সারা দেশে যত প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে সেটি ‘অডলুক’ ছিল। সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ বলেন, প্রকল্পের নাম দেওয়াটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ব্যাপার ছিল। কিন্তু এসব নামের কারণে পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে বাছাই বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে আমি যখন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য হিসাবে দায়িত্বে ছিলাম, তখন প্রকল্পে যাচাই-বাছাইয়ের নামের গুরুত্ব ছিল না।



যেসব প্রকল্পের নাম বদল হচ্ছে সেগুলো হলো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর (বিএসএমএসএন)। পরিবর্তিত নাম দেওয়া হয়েছে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর এ পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন, এর স্থলে এখন হবে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ২টি মর্ডান ফায়ার স্টেশন স্থাপন প্রকল্পের নাম বদলে জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২টি মর্ডান ফায়ার স্টেশন স্থাপন। শেখ রাসেল এভিয়ারী ও ইকো-পার্ক, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম (২য় পর্যায়) প্রকল্প থেকে শেখ রাসেলের নাম বাদ যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কক্সবাজারের উন্নয়ন প্রকল্পে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দিয়ে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক যুক্ত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গাজীপুরের অত্যাবশকীয় ব্যবস্থাপনা সহায়তা প্রকল্পে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দিয়ে শুধু গাজীপুর সাফারি পার্ক দেওয়া হয়েছে। শেখ পরিবারের না হলেও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ নেতা রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ প্রকল্পে হামিদের নাম বাদ দিয়ে শহিদ লে. আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদ, বীরউত্তমের নাম যুক্ত করা হয়েছে। শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প থেকে শেখ লুৎফর রহমানের স্থলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ নায়েব সুবেদার মো. আশরাফ আলী খান বীরবিক্রম যুক্ত হচ্ছে। বঙ্গমাতা ন্যাশনাল সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার রিসার্চ সেন্টার স্থাপন প্রকল্পে বঙ্গমাতা শব্দটি বাদ যাচ্ছে। মুক্তাগাছা সাংস্কুতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে শহিদ মো. সামিদ হোসেনের নাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও