
কমিশনের সুপারিশে আশায় শ্রমিক, সত্যি রেশন মিলবে?
তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের সবচেয়ে চাপের সময়টি যায় মাসের শুরুতে। বেতন হয় ৭ থেকে ১০ তারিখে। তার আগ পর্যন্ত কোনোভাবে টেনেটুনে চালিয়ে নিতে হয় সংসার। বিশেষ করে খাবারের যোগান হয় বড় ভাবনার বিষয়। গ্রামের বাড়িতে থাকা আপনজনরাও মুখিয়ে থাকেন, কবে বেতন হবে।
এমন বাস্তবতায় পোশাক শ্রমিকদের জন্য রেশন চালুর আলোচনায় আশার আলো দেখছেন মাসরুফা ইয়াসমিন। তিনি ভাবছেন, মাসের প্রথম সপ্তাহে রেশন পেলে ওই দুশ্চিন্তা অনেকটা কেটে যাবে তার।
গাজীপুরের গ্রামীণ ফ্যাশনসের হেল্পার হিসেবে কাজ করা এই নারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বড় ভালা হইবো রেশন দিলে। রেশন পাইলো মাসের প্রথম কয়ডা দিন তো ডাইল-ভাত খাওনের ব্যবস্থা নিয়া ভাবতে হইব না।”
চাহিদা অনুযায়ী ও নির্দিষ্ট সময় পরপর মজুরি বৃদ্ধি না হওয়ার প্রেক্ষাপটে গত কয়েক বছর ধরেই শ্রমিকদের রেশন দেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। মূল্যস্ফীতি গতবছর দুই অংকে পৌঁছে যাওয়ার পর সেই দাবি আরো জোর পায়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে এখন চলছে সংস্কারের ডামাডোল। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় শিল্পাঞ্চল ও গ্রামীণ এলাকায় শ্রমিকদের জন্য কার্ডভিত্তিক রেশন দেওয়ার সুপারিশ এসেছে।