
পোশাক খাতে মজুরি কিছুটা বেড়েছে, অন্য খাতে নয়
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর শুধু পোশাক খাতে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারিত হারের চেয়ে কিছুটা বাড়তি হারে বেড়েছে। তা-ও আন্দোলনের পর। অন্য খাতের শ্রমিকেরা বাড়তি কিছু পাননি।
সরকার গত জানুয়ারি থেকে পোশাকশ্রমিকদের বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাড়ায়। তাঁদের মজুরি বাড়ত ৫ শতাংশ হারে। আন্দোলনের পর ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হয়, যা কার্যকর হয়েছে জানুয়ারি থেকে। যদিও এই হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম মজুরি বৃদ্ধির মানে হলো, প্রকৃত মজুরি আসলে কমে যাওয়া।
পোশাক খাতের বাইরে চামড়া খাতে নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষিত হয় গত নভেম্বরে। তবে শ্রমিকনেতারা বলছেন, সেটা কেউ বাস্তবায়ন করেনি। অন্য খাতের শ্রমিকদের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে বাড়তি কোনো মজুরি ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। অথচ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) তথ্য অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। ১৪২টি খাত ও উপখাতের ৪৩টিতে ন্যূনতম মজুরির ঘোষণা আছে, বাকিগুলো এর বাইরে। এসব খাতের শ্রমিকের জন্য আইনি সুরক্ষা নেই।