দুর্নীতিবিরোধী সংবাদ প্রচারে উন্নত দেশগুলো যে পদক্ষেপ নেয়

ঢাকা পোষ্ট ড. সুলতান মাহমুদ রানা প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:২৭

দুর্নীতি বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কোনো না কোনোভাবে বিদ্যমান। কোনো রাষ্ট্রে এর মাত্রা অনেক বেশি, আবার কোনো রাষ্ট্রে কম। উন্নত অনেক রাষ্ট্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। ওইসব দেশ দুর্নীতি প্রতিরোধে যে কৌশলগুলো গ্রহণ করেছে, তার একটি প্রধান দিক হলো তথ্য প্রবাহের স্বচ্ছতা এবং নাগরিকের দ্রুত সচেতনতা।


দুর্নীতির খবর জনগণের কাছে দ্রুত ও সহজে পৌঁছানোর কারণেই এসব দেশে প্রশাসনের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দুর্নীতি তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে। দুর্নীতিবিরোধী সংবাদ প্রচারের জন্য শুধু সাংবাদিকতার স্বাধীনতাই যথেষ্ট নয়—প্রয়োজন আইনি কাঠামো, প্রযুক্তিগত সুরক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতা।


সঠিক সময়ে দুর্নীতিবিরোধী খবর প্রচার করতে উন্নত দেশগুলো কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, আইনি সুরক্ষা এবং নৈতিক সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণ করে। এ কারণে আমরা লক্ষ করেছি যে, গণমাধ্যম কিংবা সংবাদপত্র উন্নত দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা লাইন। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের "The Washington Post" বা যুক্তরাজ্যের "The Guardian" দুর্নীতির খবর প্রকাশে সাহসিকতার পরিচয় দেয়।


১৯৭০-এর দশকে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির ঘটনা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যেখানে সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্ট নিক্সনের দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ করে পুরো দেশকে নাড়িয়ে দেয়। গণমাধ্যমের সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত গবেষণা করতে গিয়ে জেনিফার ব্রাউন বলেন, ‘গণমাধ্যমে দুর্নীতির খবর প্রকাশ হলে, তা সমাজের মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে এবং রাজনৈতিক নেতা বা কর্মকর্তাদের ওপর জনগণের প্রভাব বাড়ায়, যা দুর্নীতি রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।’



সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত, যা সাংবাদিকদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে সহায়তা করে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের Freedom of Information Act (FOIA) বা সুইডেনের স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা সাধারণ নাগরিক বা সাংবাদিকরা সরকারি নথিপত্র দেখতে এবং বিশ্লেষণ করতে পারেন।


কানাডা বা সুইডেনের মতো দেশে, সরকার বাধ্য থাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য প্রকাশ করতে। এতে সরকারি কর্মকাণ্ডের ওপর জনগণের নজরদারি সহজ হয়। এমনকি দুর্নীতির তথ্য ফাঁসকারী ব্যক্তিদের (Whistleblowers) সুরক্ষা দেওয়া হয় কঠোর আইনের মাধ্যমে।


ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হুইসলব্লোয়ারদের আইনি সহায়তা, গোপনীয়তা এবং চাকরিচ্যুতির হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে। অ্যান্টি-করাপশন থিওরি অনুযায়ী, যেকোনো দুর্নীতির ঘটনা যদি জনসাধারণের কাছে ত্বরিত সময়ে পৌঁছায়, তাহলে সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।


গবেষক ড. রিচার্ড রিচার্ডসনের মতে, ‘যত বেশি সময় ধরা পড়ে না, তত বেশি দুর্নীতি বিস্তার লাভ করে।’ ওইসব দেশের কার্যকরী উদাহরণ যেখানে গণমাধ্যম ও জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার, তারা দ্রুত সরকারের শুদ্ধতার পথে চলে এসেছে। যেমন, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।


দুর্নীতির গভীরে যাওয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোতে বিশেষায়িত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ইউনিট গঠন করা হয় (যেমন—ব্রিটেনের BBC Panorama বা জার্মানির Der Spiegel)। এগুলোয় প্রশিক্ষিত সাংবাদিক, ডেটা অ্যানালিস্ট এবং আইনি বিশেষজ্ঞরা কাজ করেন।  সাংবাদিকদের সাইবার হামলা ও ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা করতে উন্নত দেশগুলো এনক্রিপশন টুলস (Signal, SecureDrop) ব্যবহার করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও