কেন কেউ কেউ পাশের বাসার আন্টি ও আঙ্কেল হয়ে ওঠেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৪

এই আন্টি বা আঙ্কেলদের আপনি চেনেন। জীবনে একবার হলেও আপনি তাঁদের ‘ফেস’ করেছেন। তাঁরা আপনার সুখের সময়ে যেমন থাকেন, দুঃখের সময়েও চারপাশে ঘোরেন। তবে সব সময় আপনার আশপাশে থাকলেও তাঁদের যখন যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার কথা, তাঁরা তা করেন না। আবার তাঁরা যে নিজের কাজটা করছেন না, সেটা আপনি সাদা চোখে বুঝতেও পারবেন না। কখনো মনে হবে তাঁরা আপনার খুবই আপনজন, কিন্তু বেশির ভাগ সময় সেটা ঠিক নয়। এই আন্টি বা আঙ্কেলরা আপনার সামনে যেটা বলছেন, সে সময়ে তাঁদের মন বলছে অন্য কথা। তাই ‘মাইন্ড রিডার’ না হয়েও চোখ–কান খোলা রেখে আপনি তাঁদের চিনে নিতে পারেন। কারণ, তাঁরা ‘পাশের বাসার আন্টি/ আঙ্কেল’। তাঁদের যেমন আপনার দরকার, তাঁদের এড়িয়ে চলাও সমান দরকার।


এই আন্টি ও আঙ্কেলরা আদতে যেমন


আপনি চান বা না চান, শিশুকাল থেকে এই আন্টিরা আপনার পিছু নেবেন। জীবনের একেক পর্যায়ে এই আন্টিদের দেখা পাবেন একেকভাবে। আপনার ছোটবেলায় তাঁরা স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে অকারণে বেছে বেছে কম নম্বর পাওয়া ছেলে–মেয়েদের সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করবেন। আপনার মা–বাবার সামনে এমনভাবে আন্টিরা তাঁদের সন্তানের প্রশংসা করবেন, যেন বাড়ি ফিরতে ফিরতেই আপনার পিঠে দুই–চার ঘা পড়ে। পড়বেও। মায়েরা এই আন্টিদের সন্তানের গুণপনার কথা শুনে আপনার সঙ্গে তুলনা টানবেন কথায় কথায়। অথচ তাঁরা কেউই জানবেন না, স্কুলের সদর দরজা দিয়ে সন্তান ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পর কে কেমন, সেটা আন্টিদের চেয়ে এই শিশুরাই ভালো জানে। হয়তো ওরাই একজন আরেকজনের ভালো বন্ধু। ভালো সহপাঠী। একজন ক্লাসের নোট নিতে না পারলে, অন্যজন তাকে সাহায্য করে। টিফিন ভাগাভাগি করে খায়। স্কুলের সদর দরজায় অপেক্ষায় থাকা এই আন্টিরা জানতেও পারেন না তাঁদের ‘ভালো ছেলে’ আদতে অতটা ভালোও নয়। আগের দিনই হয়তো সে স্কুলের পাঁচিল টপকে দুই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরে এসেছে বাইরে।


এটা তো গেল স্কুল–কলেজের আন্টিদের কথা। যাঁদের সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট সময়ই দেখা হয়। স্কুল শুরু বা শেষ হওয়া ছাড়া বড়জোর কোনো বন্ধুর জন্মদিনের দাওয়াতে। তবে রোজ রোজ বাড়ির পাশে যে আন্টি ওত পেতে থাকেন, তিনি যেন আরও অদ্ভুত, আরও গায়েপড়া। আপনি কখন পড়ছেন, কখন খাচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে ঘুরছেন—সবই পাশের বাড়ির আন্টির নখদর্পণে থাকে। অথচ নিজের সন্তান নিয়ে তাঁর খুব একটা মাথাব্যথা নেই। আপনি কোনো বড় সাফল্য পেলেও এই আন্টিদের কাছে তা নস্যি। কেউ হয়তো বলল, ‘আন্টি, আমি গুগলে চাকরি পেয়েছি।’ এই আন্টিরা উত্তরে বলবেন, ‘গুগলে! কেন, বিসিএস হয়নি?’


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও