ভারত-পাকিস্তান কি যুদ্ধের একেবারে কিনারায়

প্রথম আলো কাশ্মীর মালিহা লোধি প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৩

ভারত ও পাকিস্তান ফের একটি ভয়াবহ সংঘর্ষের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় উপমহাদেশ এমন অনিশ্চিত এক পরিস্থিতিতে ঢুকে পড়েছে, যেখানে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগের পথ বন্ধ হয়ে গেছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে।


কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার নদীর পানি বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে হওয়া সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আরও কিছু পদক্ষেপের মধ্যে আছে আটারী সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া, ভিসা বাতিল করা এবং নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের পরিসর ছোট করে ফেলা।


এসব কথিত প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ কোনো তদন্ত ছাড়াই এবং পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ ছাড়া নেওয়া হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব শুধু বলেছেন, এই হামলার সঙ্গে ‘সীমান্ত-পারাপার সংযোগ’ রয়েছে।


কিন্তু ভারতের সংবাদমাধ্যমে একটি সাজানো প্রচারণার মাধ্যমে পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়।



আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলাকারী ও তাদের মদদদাতাদের জন্য ‘অকল্পনীয় শাস্তি’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এর ফলে ভারতে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে, মোদি সরকার হয়তো কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে।


এতে ২০১৯ সালের বালাকোট–সংকটের স্মৃতি ফিরে আসছে। ওই ঘটনায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে দাবি করেছিল, সেখানে জঙ্গি আস্তানা ছিল। জবাবে পাকিস্তান জম্মুতে বিমান হামলা চালায়। ওই সময় পাকিস্তান একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে ও পাইলটকে আটক করে। পরে মিত্রদেশগুলোর সহায়তায় সংকট নিরসন হয় ও পাকিস্তান সেই পাইলটকে ফেরত পাঠায়।


ভারতের ২৩ এপ্রিলের ঘোষণার পর ইসলামাবাদও সতর্কভাবে সমন্বিত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে পাকিস্তানও একগুচ্ছ পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। তারা ভারতের পদক্ষেপগুলোকে ‘একতরফা, অন্যায় ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছে।


পাকিস্তান সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের ভারতীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সতর্ক করেছে, পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত পানির প্রবাহ থামানো বা অন্যদিকে সেই পানিপ্রবাহ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ‘যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে’ এবং তার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে ‘সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে’।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও