
৩৬ বছর পর মায়ের খুনি বাবার মুখোমুখি ছেলে
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে ১৯৮৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে একটি চিৎকার আর দুবার ভারী কিছু পড়ার শব্দে ছোট্ট কোলিয়ারের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। ১১ বছরের কোলিয়ার তার শোবার ঘরের দরজার বাইরে পায়ের আওয়াজ পেয়ে ভয়ে কম্বল মুড়ি দেয়। পরদিন সকালে সে ঘুম থেকে উঠে মাকে খুঁজতে থাকে। তখন তার বাবা জানান, মা ছুটিতে বেড়াতে গেছেন।
কথাটা মোটেও বিশ্বাস হয়নি কোলিয়ারের। এক দিন পরই নতুন বছরের প্রথম দিন। ছুটির এই মৌসুমে মা তাকে কিছু না জানিয়ে কখনো কোথাও চলে যাবেন না। তার ওপর সপ্তাহ কয়েক আগেই তার মা তাকে নিজের বন্ধুদের ফোন নম্বর দিয়ে বলেছিলেন, যদি সে কোনো দিন হঠাৎ করে জানতে পারে মা বাড়িতে নেই, বেড়াতে গেছে, তবে যেন মায়ের বন্ধুদের সে কথা জানায়।
কোলিয়ার মায়ের দেওয়া ফোন নম্বর বাবার চোখের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল। কোলিয়ারের বাবা জন ফ্রান্সিস বয়েল জুনিয়র একজন চিকিৎসক। তিনি রোগী দেখতে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বাড়িতে যেতেন। কোলিয়ারও মাঝেমধ্যে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় বাবার সঙ্গী হতো। সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকেরা রোগীদের বাড়িতে গিয়ে রোগী দেখতেন।
এক তরুণী রোগীর সঙ্গে বাবার অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা দেখে ছোট্ট কোলিয়ারের সন্দেহ হয়েছিল। বাবা ওই তরুণীর হাতে হাত রেখে হাঁটেন, জড়িয়ে ধরেন, চুমু খান। একদিন ওই তরুণীর হাতে মায়ের বড় হীরার আংটি দেখে কোলিয়ারের সন্দেহ হয়। ছোট্ট কোলিয়ার মাকে সবকিছু জানিয়ে দেয়। তখন থেকেই শুরু হয় মা–বাবার ঝগড়া।