
যাঁরা সিনেমা দেখে কাঁদেন, তাঁরা মানসিকভাবে বেশি শক্তিশালী, জানতেন?
কোনো কোনো সিনেমার গল্প আমাদের মনে এত গভীর ছাপ ফেলে যে কখনো হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে যায়, আবার কখনো চোখের পানি আটকে রাখা দায় হয়ে পড়ে। অনেকে মনে করেন, সিনেমা দেখে কাঁদা নাকি দুর্বলতার লক্ষণ। কিন্তু আদতে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো! যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেয়ারমন্ট গ্র্যাজুয়েট ইউনিভার্সিটির নিউরোইকোনমিস্ট পল জে জ্যাকের গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা সিনেমা দেখে কাঁদেন, তাঁরা আদতে অন্যের প্রতি আরও বেশি সহানুভূতিশীল হন, নিজেদের আবেগ ভালোভাবে সামলাতে পারেন এবং জীবনের নানা কঠিন সময়েও দৃঢ়ভাবে সামনে এগিয়ে চলার শক্তি রাখেন। চলুন, এর কারণ ও উপকারিতা জেনে নিই:
এই কান্নার কিছু উপকারিতা
অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীলতা বাড়ে
যাঁরা সিনেমা দেখে কাঁদতে সংকোচ করেন না, তাঁরা আদতে মানসিকভাবে শক্ত। কারণ, তাঁরা সাহস করে নিজের আসল অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং কে কী বলবে, সেটা নিয়ে ভয় করেন না। পল জে জ্যাক বলছেন, ‘অক্সিটোসিন আমাদের শুধু সহানুভূতিশীলই করে না; বরং অন্যের প্রতি সংবেদনশীল হতে শেখায় এবং ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর সাহসও বাড়ায়।’
কান্নারও শক্তি আছে
যাঁরা সিনেমা দেখে কাঁদেন, তাঁরা জানেন, কান্না শুধু দুঃখের প্রকাশ নয়, এটি একটি শক্তি। তাঁরা জানেন, কান্নাই পারে অন্য মানুষের সঙ্গে গভীর ও ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে। এতে সামাজিক বন্ধন বাড়ে। তাঁরা মনে করেন, চারপাশে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা তাঁদের জীবনে ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এভাবে তাঁরা তাঁদের যেকোনো আবেগকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারেন। এই শক্তিটা তাঁদের মানসিকভাবে আরও হালকা করে এবং সম্পর্কগুলো আরও গভীর ও মানবিক করে তোলে।
কাঁদলে আবেগের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়
সিনেমা দেখে যাঁরা কেঁদে ফেলেন, তাঁরা তাঁদের অনুভূতি চেপে রাখেন না। তাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের জীবনে যা যা ঘটে, সেসবের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা জরুরি। তাই মাঝেমধ্যে একটু কাঁদারও প্রয়োজন আছে। এতে তাঁদের আবেগের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে তাঁরা চাপ সামলাতে পারেন। অন্যদিকে যাঁরা অনুভূতি চেপে রাখেন, তাঁরা সেই ভারসাম্য থেকে বঞ্চিত হন। ফলে তাঁরা চাপ সামলাতে পারেন না। অর্থাৎ সামগ্রিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে কান্না।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- কান্না
- সিনেমা প্রদর্শিত