
চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের পেছনে ছিল রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনা, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ
ড. নাওমি হোসাইন, যুক্তরাজ্যের সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের গ্লোবাল রিসার্চ অধ্যাপক। কাজ করেছেন বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগসহ সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্টেবিলিটি রিসার্চ সেন্টারে। বণিক বার্তাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দি এইড ল্যাব-এর বাংলাদেশ সংস্করণ নিয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ, এর কারণ, প্রভাব, পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম
আপনার বই ‘দি এইড ল্যাব’-এর ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন, লেখার সময় মাঝে মাঝে আপনাকে কি-বোর্ড থেকে চোখের পানি মুছতে হয়েছে। কেন?
বইটিতে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা হয়েছে, যা ব্যাখ্যা করে কেন বাংলাদেশ পরবর্তী সময়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, কার্যকর ও দরিদ্রবান্ধব উন্নয়ন মডেল গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। ওই দুর্ভিক্ষ ছিল এক ভয়াবহ বিপর্যয়। ব্রিটিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিক জন পিলগারের প্রামাণ্যচিত্র অ্যান আনফ্যাশনেবল ট্র্যাজেডি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ওপর বিস্তৃতভাবে আলোকপাত করেছে। এছাড়া এ বিষয়ে আরো ভিডিও ও গবেষণামূলক উপাদান রয়েছে। বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ মুহিউদ্দিন আলমগীরের লেখা Famine in South Asia শীর্ষক বইটিও এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করে, যদিও বইটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় না।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বাংলার দুর্ভিক্ষ
- দুর্ভিক্ষ