বিভিন্ন দেশে সাংস্কৃতিক শিক্ষার গুরুত্ব

ঢাকা পোষ্ট সৈয়দ মো. সিয়াম প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৭

মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক হলো সংস্কৃতি এবং শিক্ষা, যা সমাজ কর্তৃক প্রতীয়মান হয়। সংস্কৃতি প্রবহমান, গোষ্ঠীগত ঐতিহ্য যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে। অন্যদিকে শিক্ষা ব্যক্তিত্ব বিকাশের মাধ্যমে মানুষের আচরণিক অপেক্ষাকৃত ইতিবাচক স্থায়ী পরিবর্তন আনে সেইসাথে আমরা যে সমাজে বসবাস করি তা সম্পর্কে বুঝতে ও জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে।


মানুষের আচরণমালার সমষ্টিই হলো সংস্কৃতি। এখানে শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতি শাব্দিকভাবে ভিন্ন অর্থ ও সংজ্ঞাবিশিষ্ট হলেও প্রতিটি প্রত্যয় ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত রয়েছে এবং একে অপরের ওপর গভীর প্রভাব রাখছে। শিক্ষা যেকোনো সমাজের বিকাশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সত্যিকারের শিক্ষা ব্যক্তির মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসকে গঠন করতে, জ্ঞানকে প্রশমিত করতে এবং জীবনে সাফল্যের জন্য দক্ষতা প্রদান করতে সাহায্য করে। শিক্ষা সংস্কৃতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।


আমরা সবাই বেড়ে উঠি একটি নির্দিষ্ট সংস্কৃতির বাতাবরণে যা প্রতিফলিত হয় আমাদের কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে, চলনে-বলনে, আকার-ইঙ্গিতে। সংস্কৃতি হলো বিশ্বাস, মূল্যবোধ, ভাষা, রীতিনীতি, ধর্ম এবং ঐতিহ্যের বুনিয়াদ, যা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সমাজকে সংজ্ঞায়িত করে।


শিক্ষা যেমন সংস্কৃতিকে গতিশীল রাখে, আবার সংস্কৃতিও শিক্ষার দ্বারাই অর্জিত হয়। ফলে উভয়ই যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া শিক্ষা-দীক্ষা, ভাবধারা, রীতি-নীতি, বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা, জ্ঞান, কৌশল, দক্ষতা, দর্শন ইত্যাদি সংস্কৃতি।


সংস্কৃতির আরেক নাম ‘সামাজিক উত্তরাধিকার (Social Heritage)’, সংক্ষেপে ‘সংস্কৃতি’ বলতে একটি মানবগোষ্ঠীর সমগ্র জীবন ধারাকে বোঝায়। ‘Culture is the total way of life’। এ হলো একটি মানবগোষ্ঠীর আচার-আচরণ, বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, আহার-বিহার, বিলাস-ব্যসন, উপকরণ প্রভৃতি সবকিছুই।



আর সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীব হিসেবে মানুষের ব্যক্তিত্বে উৎস মূলত দ্বিবিধ—একটি জন্মগত ও অপরটি সংস্কৃতিগত। অর্থাৎ সমাজ-সংস্কৃতির ওপর মানুষের ব্যক্তিত্ব অনেকাংশে নির্ভরশীল। বস্তুত, মানুষের ব্যক্তিত্বকে রূপায়ন করে তার সংস্কৃতি। মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠিত ও বিকশিত হয় তার সামগ্রিক সংস্কৃতিরই অংশ হিসেবে। শিক্ষার দ্বারা মানুষ তার জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটায় এবং দৃষ্টিভঙ্গির পুনর্গঠন করে। এভাবে শিক্ষা মানুষের আচরণে পরিবর্তন আনার মাধ্যমে তার সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।


প্রত্যেক জাতির সংস্কৃতিরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে। এক সংস্কৃতির সঙ্গে অন্য সংস্কৃতির পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। একটি সংস্কৃতির স্বরূপ নির্ধারিত হয় তার পারিপার্শ্বিকতা, আবহাওয়া, প্রযুক্তি, জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক অবস্থান দ্বারা। এসব নিয়ামক সমূহের প্রতিফলন ঘটে মানুষের আচার-ব্যবহার, মূল্যবোধ ও ভাষার ওপর।


এমনকি একই দেশে একই সমাজে গোষ্ঠীভেদে সংস্কৃতির মধ্যে বৈচিত্র্য থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ সংস্কৃতি হলো, মানুষের অর্জিত বিষয়, সহজাত নয়। একেকটি জাতির, গোষ্ঠীর, অঞ্চলের বা ইতিহাসের এক একটি অধ্যায়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ কারণে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের স্বতন্ত্র সংস্কৃতির কথা বলা হয়।


আর শিক্ষা এই আবহমান কাল ধরে চলে আসা ধ্রুপদ সংস্কৃতি সংরক্ষণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। আর সেটি রক্ষা করে শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি করা এবং সেটি শিক্ষার্থীদের চর্চা করানোর মাধ্যমে। আর এই ধ্রুপদ সংস্কৃতি সংরক্ষণে বিশ্বের উন্নত অনুন্নত সব দেশেই জোর ভূমিকা রাখে।


জাপানে বিশেষ দিনে বিশেষ আয়োজন হলে তা স্কুলের দরজায় রাখা কাচের বাক্সে রেখে অভিভাবকদের দেখানো হয়। কোনো বিশেষ উৎসব বা ঋতু পরির্বতন হলে তার নমুনাও প্রবেশদ্বারের টেবিলে সাজিয়ে রেখে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হয়। অভিভাবকদেরও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় উৎসবের আগমন। বিদ্যালয়ে সেই উৎসব যেমনভাবে পালিত হয় ঠিক তেমনই পাঠ্যবইতেও এ জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও