ঠাকুরগাঁওয়ে দলের পাশাপাশি ভোটের মাঠও গোছাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত

প্রথম আলো ঠাকুরগাঁও প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯

ঠাকুরগাঁও জেলার রাজনীতির মাঠে এখন বিএনপি আর জামায়াত বেশ সক্রিয়। দল দুটি সংগঠনকে গোছানোর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের মাঠও গোছাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী আসনে এখন বেশ সক্রিয়। সুযোগ পেলেই জনসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। বার্তা দিচ্ছেন ঐক্য আর শান্তির। আবার কেউ কেউ দিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।


জমজমাট বিএনপি কার্যালয়


আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঠাকুরগাঁওয়ে শতাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছিল বিএনপির সাত হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে। কারাভোগ করতে হয়েছে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে দলের কর্মসূচি থেকে অনেক নেতা-কর্মী নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। কিন্তু এখন সেই দিন পাল্টেছে। গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ায় পর সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এখন সেই কার্যালয় ঘিরে দিনরাত চলে নেতা-কর্মীদের আড্ডা।


উচ্ছ্বসিত জামায়াতের নেতা-কর্মীরা


২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ঠাকুরগাঁওয়ে প্রকাশ্যে সংগঠনের কর্মকাণ্ড চালাতে পারেনি জামায়াত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নির্বিঘ্নে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীরা। দলটি তৃণমূলে সভা-সমাবেশ করছে। নেতারা ধর্মীয় ও সামাজিক নানা আয়োজনে যোগ দিয়ে জনগণের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে কাজ করছেন।



আত্মগোপনে আওয়ামী লীগের নেতারা


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঠাকুরগাঁও শহরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কার্যালয়ও। গ্রেপ্তার এড়াতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা আত্মগোপনে আছেন। জেলায় আওয়ামী লীগের ৮৭১ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ১৮টি মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় ১ হাজার ৬৩০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।


এনসিপিসহ অন্য দলের অবস্থা


এনসিপি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহে কাজ চললেও তা দৃশ্যমান নয়। আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ওয়ার্কার্স পার্টির কোনো কর্মসূচি দৃশ্যমান নয়। তবে আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও স্থানীয় নানা ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণ অধিকার পরিষদের তৎপরতা চোখে পড়ছে। এর বাইরে বিভিন্ন দাবি নিয়ে মাঝেমধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) তৎপরতা দেখা গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও