শিশুদের নাট্যচর্চা জরুরি কেন?

ঢাকা পোষ্ট ড. আরিফ হায়দার প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৪৩

কী বলা যায় আর আর কী বলা যায় না তা ভেবে কোনো লাভ নেই। মানুষ কোনো বাধাকে বাধা ভাবে না, সে তার গতিতেই অগ্রসর হয়। যেমন একটি শিশু তার সরলতা নিয়ে যে কাউকে দেখে হাসে, কাঁদে, কাছে এগিয়ে যায় এমনকি প্রকৃতির পশু-পাখিদেরও আপন ভেবে এগিয়ে যায়।


এমন শিশুদের নিয়ে যখন আমি আপনি কাজ করার কথা ভাবি তখন নিজেকে শিশু মনের কাছে যেতে হয়, যেমনটি আমি ছিলাম ছেলেবেলায়। এমন কিছু শিশু-কিশোরদের থিয়েটারের কাজ নিয়ে পাগলামির অনেক গল্প আছে। স্বাধীনতা উত্তরকালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে যে শিল্প মাধ্যমের বিকাশ সবচেয়ে বেশি উন্নত হয়েছে তা হচ্ছে নাট্যকলা।


সবাই ভেবেছিল শিশু-কিশোরদের নিয়ে যে থিয়েটারের চর্চা হবে তা আগামী দিনে নাট্যচর্চার সোপান হবে। এবং বড়দের নাট্যচর্চার সাথে তৈরি হবে এক মেলবন্ধন। মেলবন্ধন তৈরি হয়নি তা বলা যাবে না, স্বাধীনতা উত্তরকালে বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে, জেলা এমনকি গ্রামের মধ্যে তৈরি হয়েছে শিশু-কিশোরদের নাট্যসংগঠন।


সুখের বিষয় বাংলাদেশের গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্তি দলগুলোর মধ্যে প্রায় প্রতিটি দলেরই একটি শাখা ছিল শিশু-কিশোরদের নাট্যদল হিসেবে। কিন্তু এখন তা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। শুধু শিশু-কিশোরদের নাট্যদল নয়, বড়দের নাট্যদল ও বিলুপ্তি হচ্ছে ক্রমশ।


আমরা কি বলতে পারি কেন বিলুপ্তি হচ্ছে? থিয়েটার সঠিকভাবে হচ্ছে না কেন? এক কথায় বলা যায়, ক্ষমতার লড়াই নাট্যাঙ্গনের মধ্যে। ক্ষমতার লড়াই করতে গিয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চোখে উঠেছে কালো চশমা। যে চশমায় দিন-রাতের কোনো পার্থক্য নেই। বাংলাদেশের মানচিত্রের শুরুতেই একটি সুন্দর সকাল নিয়ে বেশকিছু শিশু-কিশোর নাট্যদলসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানও তৈরি হয়।



প্রথমেই বলা যেতে পারে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি (সরকারি প্রতিষ্ঠান), শিল্পকলা একাডেমি (সরকারি প্রতিষ্ঠান) এছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় শিশু সংগঠন তৈরি হয়ে ওঠে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, লোক নাট্যদলের চিলড্রেন থিয়েটার, কিশোর থিয়েটার, টঙ্গী শিশু থিয়েটার, কেন্দ্রীয় কচি কাঁচার মেলা, চাঁদের হাট, লিটিল থিয়েটার, চয়ন নাট্যগোষ্ঠী এমন কতগুলো শিশু-কিশোর নাট্যদল বাংলাদেশে আছে। কারণ একটাই ছিল ছোটবেলা থেকে শিশুদের সংস্কৃতির মধ্যে থাকলে তাদের মন-মনন ভালো থাকবে।


জানতে পারবে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকুমার, অন্নদাশঙ্কর থেকে আজকের সুকুমার বড়ুয়া, লুৎফর রহমান রিটন, আনজির লিটন পর্যন্ত। ১৯৭০ সালে প্রথম কচিকাঁচার মেলার উদ্যোগে শিশুদের নাটক মঞ্চায়নের চিন্তাভাবনা শুরু হয়। কিন্তু ১৯৭৩ সালে এসে তা বাস্তবতায় রূপ নেয়, তখন অভিভাবকরা এসে বসে থাকতো মহড়া কক্ষের সামনে। বাড়ির সব কাজ শেষ করে তার বাচ্চাকে নিয়ে আসবে সংগঠনে, সেখানে নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক থেকে আরম্ভ করে উপস্থিত বক্তৃতা, গল্প বলা কত কিছুই না শেখার আকাঙ্ক্ষা।


সময় অনেকটা চলে গেছে, এখন ডিজিটাল যুগ। আমরা ডিজিটাল যুগ বলে দাবি করছি এই বাংলার মাটিতে বসে। কিন্তু একবারও কি হিসাব করে দেখেছি আমাদের শিক্ষার হার কত? কিছু বুঝে হোক আর না বুঝে হোক পশ্চিমাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে একটা শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছি মেধাকে নিয়ন্ত্রণ করার যন্ত্র।


প্রথম প্রশ্ন হতে পারে আমি নিজে কতটুকু এ যন্ত্রের সাথে পরিচিত? দ্বিতীয় প্রশ্ন হতে পারে আমার পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অবস্থা কী? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যখন আজকের শিশুরা, তখন আপনি-আমি কোনদিকে যাবো? চোখ খুলে দেখুন আপনার বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে মানুষ। আপনার শিশুকে মানুষ করে তুলতে নিজে কতটুকু মানুষ হয়েছেন সেটিই বিবেচ্য।


আজকের আধুনিক যুগে এসে বলবো না ডিজিটাল ডিভাইসটি খারাপ, শুধু এতটুকুই বলবো ওই ডিভাইস কীভাবে ব্যবহার করবো। কতটুকু আমার জন্য প্রয়োজন এবং আমার শিশুর জন্য প্রয়োজন, উদাহরণ দিয়ে বলা যেতেই পারে যে, ‘বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে, অথবা তুমি তোমার পরীক্ষার ফলাফল ভালো করলে একটা দামি মোবাইল মানে এন্ড্রয়েড ফোন কিনে দেবো।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও