অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার যে প্রথা ভাঙছেন পোপ ফ্রান্সিস

প্রথম আলো ভ্যাটিক্যান সিটি প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০১

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন ২১ এপ্রিল। প্রায় ১২ বছর রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আগামীকাল ২৬ এপ্রিল ভ্যাটিকান সিটির স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুরু হবে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। তবে আগের পোপদের মতো রাজকীয় বিদায় হচ্ছে না তাঁর। বরং পোপ ফ্রান্সিসের ইচ্ছা অনুসারে প্রথা ভেঙে সম্পন্ন করা হবে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা।


পোপ ফ্রান্সিসকে ধরা হয় ক্যাথলিক চার্চের মহান সংস্কারক হিসেবে। সহনশীলতা ও ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন সারা বিশ্বে। ক্যাথলিক চার্চের বহু বছরের পুরোনো নিয়ম, প্রথা, আচার—সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছেন। পোপের জন্য নির্ধারিত বাসস্থানে থাকতেন না, থাকতেন দুই বেডরুমের ছোট্ট একটি বাসায়। খাওয়ার সময় ডেকে নিতেন কর্মচারীদের। নিজে শরণার্থীদের পা ধুয়ে দিয়েছেন, সারা বিশ্বে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন শান্তির বাণী। এমনকি মৃত্যুর আগের দিনও দুই হাতে প্রার্থনা করেছেন গাজাবাসীর জন্য, আহ্বান জানিয়েছেন যুদ্ধবিরতির। শেষকৃত্যেও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। তাঁকে সমাহিত করা হবে কয়েক শতাব্দীর প্রথা ভেঙে।


পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয় ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসেলিকা গির্জার ঘণ্টা বাজিয়ে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী কাজ শুরু করে দেন কার্ডিনালরা। প্রথমে সিলগালা করে দেওয়া হয় তাঁর বাসস্থান। যাতে তাঁর রেখে যাওয়া কোনো কাগজপত্র কিংবা কাজে কেউ কোনো পরিবর্তন আনতে না পারেন। অতঃপর তাঁকে পোপের সাজে সাজিয়ে রাখা হয় কফিনে। পোপের ইচ্ছানুযায়ী তাঁর খোলা কফিন রাখা হয়েছে ভ্যাটিকান সিটির কাসা সান্তা মার্তার চ্যাপেলে। সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে ফেলা হবে তার ‘ফিশারম্যানস রিং’। ডাকটিকিট চল হওয়ার আগে এই সিল দিয়ে যেকোনো নথি স্বাক্ষর করতেন পোপরা। এখন মূলত পোপের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয় আংটি। এর মধ্যেই চলবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কাজ। আগামীকাল ২৬ এপ্রিল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগপর্যন্ত চ্যাপেলে থাকবে তাঁর মরদেহ।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও