
বন্ধের পথে শিল্প উৎপাদন
গাজীপুর জেলা ও মহানগরী এলাকার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে প্রভাব পড়েছে উৎপাদনে। বিশেষ করে পোশাকশিল্পসংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোতে উৎপাদন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এমন অবস্থায় ভবিষ্যতে শ্রমিকদের বেতন, ব্যাংকের সুদ ইত্যাদি পরিশোধ করে কারখানা চালু রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান কারখানা মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, একদিকে মার্কিন শুল্ক আরোপ, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশের আন্তর্জাতিক বাজার দখলের চেষ্টা এবং দেশীয় পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের জ্বালানিনীতি এ শিল্পকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সাদমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সহসভাপতি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখন নানামুখী সংকট মোকাবিলা করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে আমেরিকা যখন পাল্টা শুল্ক আরোপ করল, ঠিক তখনই সরকার দেশের জ্বালানিনীতি পরিবর্তন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করল। অন্যদিকে দাম বাড়ালেও গ্যাসের চাপ ও সরবরাহ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এতে উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘রাত ৮-৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কোনোরকমে কারখানা চালু রাখা হলেও সকাল ৬টার পর গ্যাসের চাপ এবং সরবরাহ আশঙ্কাজনকভাবে কমে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। আমার উৎপাদন দৈনিক ৬০ টন থেকে কমে ১০ টনে নেমে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের সুদ ও কিস্তি পরিশোধ এবং শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য খরচ কোনোভাবেই থেমে থাকবে না। ফলে আগামী দিনগুলোয় এ অবস্থা চলতে থাকলে কীভাবে এসব পরিশোধ করব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’ বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেও সন্তোষজনক কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।