পপুলিস্ট নেতৃত্বের অনুপস্থিতিই শুধু নয়, প্রতিষ্ঠাকালে বিএনপি যেমন অন্যান্য দল ও নেতৃবৃন্দের সমর্থন ও শুভদৃষ্টি পেয়েছিল, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তা পায়নি। এনসিপির শীর্ষ পদের অধিকাংশই হচ্ছে দেড় বছর আগে আখতার হোসেনের হাতে গড়া গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সাবেক নেতা-কর্মী। এর আহবায়ক নাহিদ ইসলাম ছিলেন ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব আর আখতার হোসেন আহবায়ক।
ছাত্রশক্তির বাইরে যারা দলটির নানা স্তরে যুক্ত হয়েছেন তারা হলেন গণঅধিকার পরিষদ এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন থেকে বের হয়ে আসা কয়েকজন, ছাত্রশিবিরের সাবেক কিছু সদস্য এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন কর্মী ও আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার নির্দলীয় ব্যক্তিবর্গ। ছাত্রলীগ ছেড়ে আসা দু-চার জনও নেতৃত্বের সম্মুখসারিতে রয়েছেন।
তবে ইতোমধ্যে গণঅধিকার পরিষদ থেকে আসা কয়েকজন ফিরে গেছেন তাদের পুরোনো দলে। আর শিবির থেকে আসা একটি উল্লখযোগ্য অংশ এনসিপিতে তাদের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি মনে করে আলাদা আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। অর্থাৎ, যাত্রাপথের শুরুতেই এনসিপিকে কিছুটা হোঁচট খেয়ে যাত্রা শুরু করতে হয়েছে।