কংক্রিটের জঞ্জালে বিশুদ্ধ বায়ুর সন্ধান

ঢাকা পোষ্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন রাহাত মিনহাজ প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২০:০৯

মাতৃভূমি মা সমতুল্য। তাই মায়ের সমালোচনা বা নেতিবাচক দিক তুলে ধরা খুব একটা রুচিকর নয়। কিন্তু উন্নয়নের মানদণ্ড ও পরিবেশের নানা বিষয়ে সতর্ক হতে অনেক সময় বাধ্য হয়েই আমাদের বিভিন্ন দেশের সাথে তুলনা টানতে হয়। আলোচনার টেবিলে আনতে হয় অনেক অপ্রিয় সত্য ও বাস্তবতা।


ছোট একটি পর্যবেক্ষণ। পারিবারিক কারণে আমাকে বছরের কিছু সময় অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শহর ব্রিজবেনে অবস্থান করতে হয়। ব্রিজবেন শহরের সাথে ঢাকার একটা মিল আছে। ব্রিজবেন শহরের গোড়াপত্তন ব্রিজবেন নদীকে কেন্দ্র করে। আর আমাদের ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন বুড়িগঙ্গাকে কেন্দ্র করে।


ঢাকার বয়স ৪০০ বছর পেরিয়েছে, ব্রিজবেনও শহরের বয়সও অনেকটা কাছাকাছি। ব্রিজবেনের তুলনায় ভৌগোলিকভাবে ঢাকা একটি সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। ঢাকার আশেপাশে চার নদী—বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু আর তুরাগ। আর ব্রিজবেন শহরে একটাই নদী-ব্রিজবেন। কিন্তু পরিবেশগত অবস্থায় দুই শহরের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত।


হ্যাঁ, অনুন্নত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা উন্নত বিশ্বের প্রতিনিধি অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেনের মতো হবে তেমনটা বলছি না। কিন্তু সদিচ্ছা ও পরিকল্পনা থাকলে কিছুটা যে উন্নয়ন করা যেত তা বলা যায় নিঃসন্দেহে।


ছোট্ট করে উল্লেখ করি, ব্রিজবেন পৃথিবীর ১৬-তম বসবাসযোগ্য শহর আর ঢাকা ১৬৮-তম। আর এই বসবাসযোগ্য শহর, উন্নত পরিবেশের নানা সূচক রয়েছে। এখানে বিস্তারিত আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক। আজ আলোচনা করতে চাই শহরের বাতাসের মান নিয়ে।



২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের সকালে রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান পৃথিবীর অন্যতম দূষিত। বাতাসের মানের সূচক ৬২ (AQI:Air quality index)। যার অর্থ বাতাসের মান খুব খারাপ। পর্যবেক্ষক সংস্থা AccuWeather এর নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার বাতাসের মান ২২ এপ্রিল নিম্নমুখী।


যা উল্লেখ করে সংস্থাটি নির্দেশনা দিচ্ছে ‘হাওয়াতে দূষণ উচ্চমাত্রায় পৌঁছে গেছে এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। আপনি যদি শ্বাসকষ্ট বা গলায় অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলো অনুভব করেন তাহলে বাইরে সময় কাটানোর পরিমাণ কমান।’


আর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেনে বাতাসের মান ভালো, মান সূচক ২০। মোবাইলে নোটিফিকেশন দিয়ে ব্রিজবেন সিটি কাউন্সিল তার নাগরিকদের জানিয়ে দিয়েছে, আজকের বায়ুর মান কয়েক দিনের তুলনায় ভালো। দিনটি বাইরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য উত্তম।


পারিবারিক কারণে যখন ব্রিজবেন শহরে যাই—তখন ওই শহরে আমি প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাই। বাতাসের মান এতটাই বিশুদ্ধ যে বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার পর বুকের ভেতর অনুভব করি বিশুদ্ধ বাতাসের প্রাণশক্তি। মন ও শরীরে ভিন্ন ধরনের অনুভূতি কাজ করে।


আবারও উল্লেখ করি, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্রিজবেনের সাথে ঢাকার তুলনা করা যথাযথ নয়। কিন্তু শুধু পার্থক্য বোঝাতে এই প্রসঙ্গ টানা যেতেই পরে। ঢাকা শহরের বাতাস নিম্নমান হওয়ার বহু কারণ রয়েছে। অন্যতম হলো, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ ও নির্মাণ সামগ্রী ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। আর সবুজহীনতা মানে বৃক্ষনিধনও এর অন্যতম কারণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও