সামনে একটি কম্পিউটার আর যদি প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বসে ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব। বাংলাদেশে শহরের বাইরে থাকা অনেক তরুণ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত অনেক দিন ধরে। নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ এলাকায় বসে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করছেন তাঁরা। নিজেরা ফ্রিল্যান্সিং শেখার পর এই তরুণদের অনেকে এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিতেও শুরু করেছেন। মাদারীপুর জেলার মেহেদি হাসান শুভ তাঁদেরই একজন।
ফ্রিল্যান্সিং করে সময়ের সঙ্গে আয় বেড়েছে মেহেদি হাসান শুভর। সেই সঙ্গে অনেক তরুণের আয়ের পথ তৈরি করে দিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি।
বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো
পেইড কোর্সের পাশাপাশি বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর কার্যক্রম শুরু করেছিলেন মেহেদি হাসান শুভ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন তিনি। এখন তাঁদের অনেকে নিজ এলাকায় বসে উপার্জন করছেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের অনেকে আবার অন্যদের ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে আয়ের পথ দেখাচ্ছেন। মেহেদি হাসান শুভ শুধু দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ ফ্রি লাইভ সাপোর্ট এবং প্রশিক্ষণই দেন না, তাঁরা কীভাবে নিয়মিত আয় করবেন, সেই দিকনির্দেশনাও দিয়ে পাশে থাকেন। শুভ জানিয়েছেন, তিনি একটি পরিবারের অন্তত একজনকে স্বাবলম্বী করতে চেয়েছেন। যেন সেই ব্যক্তি দেশে রেমিট্যান্স আনতে পারেন। চাকরি না করে যেন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম হন।