You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ট্রাম্পের খায়েশ ও গণতন্ত্রপ্রিয় মার্কিনিদের উদ্বেগ

মাত্র চার মাসেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃত্বপরায়ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়ে তাঁর শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে দেশবাসীর কাছে এক ভিন্ন বার্তা তুলে ধরেছেন। তাঁর কর্মকাণ্ডকে এখন গণতন্ত্রের প্রতি এক অভাবিত হুমকি হিসেবে মনে করা হচ্ছে এবং এতে গণতন্ত্রপ্রিয় মার্কিন জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। এ দেশের দীর্ঘদিন ধরে লালিত গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ট্রাম্প ধসিয়ে দিতে চান বলেও অভিয়োগ উঠেছে। ট্রাম্পকে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আমেরিকার ধনাঢ্য গোষ্ঠী, যাদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ও জাকারবার্গের মতো ব্যক্তিরা।

আর রয়েছেন তাঁর একান্ত ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী স্টিভ ব্যাননের মতো উগ্র শ্বেতাঙ্গবাদীরা।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্রিমিনাল অপরাধের জন্য আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত একজন অপরাধী। এমন একজন অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রাখেন, এটিই ছিল অবিশ্বাস্য। কিন্তু সাংবিধানিক কোনো বাধা তাঁর জন্য ছিল না।

অপরাধী বা আদালত কর্তৃক দণ্ডিতরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পাারবেন না এমন কোনো বিধান মার্কিন সংবিধানে নেই। এই সুযোগটিই নিয়েছেন ট্রাম্প। নিন্দিত, বিতর্কিত এবং আদালত কর্তৃক একটি অত্যন্ত মর্যাদাহানিকর এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েও শুধু সংবিধানের এই ঘাটতির সুযোগ নিয়ে তিনি নির্বাচন করেছেন এবং বিস্ময়করভাবে বিপুল ভোটে জয়লাভও করেছেন।

ট্রাম্পের এই বিজয় যেমন শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের নব উত্থানের সমবেত প্রয়াস, তেমনি ডেমোক্রেটিক শিবিরের এক নিদারুণ ব্যর্থতা।

চারটি বছরের শাসনে বাইডেন-কমলা কোনো ক্ষেত্রে যে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পরিচয় রাখতে পেরেছেন এমন কথা বলা যাবে না। তাঁদের জন্য ব্যাপক সংকটের সৃষ্টি করেছিল অভিবাসী সমস্যা। তাঁদের উদার নীতির সুযোগ নিয়ে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে দলে দলে ঢুকে পড়েছে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ। বাইডেন প্রশাসন তাদের আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। আর এসব করতে গিয়ে তারা যেমন হিমশিম খেয়েছে, তেমনি আমেরিকানদের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

অভিবাসীদের জন্য ‘স্যাংকচুয়ারি সিটি’ হিসেবে চিহ্নিত নিউইয়র্ক বা অন্য শহরগুলোতে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং এসব পদক্ষেপ বাইডেন প্রশাসনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে ঢুকলেও মেক্সিকোর রিপাবলিকান গভর্নর অভিবাসীদের গ্রহণ করেননি। তিনি বাস বোঝাই করে তাদের নিউইয়র্ক ও অন্য অভিবাসীবান্ধব শহরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। নিউইয়র্কের গভর্নর বিপুল অর্থ ব্যয় করে তাদের আরাম-আয়েশ, ভবন নিশ্চিত করেছেন। পাঁচতারা হোটেল খালি করে তাদের সেখানে রাখা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে টেন্ট খাটিয়েও তাদের স্থান সংকুলান করা হয়েছে। নিউইয়র্ক থেকে বহু অভিবাসীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাফেলোসহ অন্যান্য শহরে। সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসা অভিবাসীদের জন্য এমন সব উদ্যোগ আমেরিকানদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। নগরীর পরিবেশ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আশ্রয় পাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ অপরাধ তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছে, পুলিশের হাতে তারা গ্রেপ্তার হয়েছে।  বাইডেন প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল তরুণসমাজ। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং নতুন লক্ষ্যমাত্রা তৈরিতে বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ ছিল তরুণদের।

সব মিলিয়ে বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গণরায় গেছে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের প্রাক্কালেও প্রার্থী মনোনয়নে ডেমোক্র্যাটদের ডিগবাজি ভোটাররা নেতিবাচকভাবেই মূল্যায়ন করেছেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ জো বাইডেনকেই প্রথমে মনোনয়ন দিয়ে তারপর ট্রাম্পের সঙ্গে টিভি বিতর্কে শোচনীয় ব্যর্থতার পর তাঁকে সরিয়ে আবার কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ডেমোক্র্যাটদের জন্য বিপর্যয়ের আরেক কারণ হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতিতে এক নজিরবিহীন নির্বাচনে ট্রাম্পের মতো একজন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে গেছেন। আর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মানে সারা বিশ্বের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। এই দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ট্রাম্প এখন তাঁর ইচ্ছামাফিক ছড়ি ঘোরাচ্ছেন, আমেরিকার গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছেন, আমেরিকার গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের শান্তি হরণ করে চলেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন