দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক আট কোটি শ্রমিকের স্বীকৃতি ও আইনি সুরক্ষায় যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনি নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত আর কাজের অধিকার ও সুযোগ তৈরি এবং মজুরি-ন্যায্য হিস্যার সুপারিশ এসেছে শ্রম সংস্কার কমিশন থেকে।
শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রেও সংস্কারের প্রস্তাব করে ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতে জাতীয় মজুরি কমিশন গঠন করতেও বলেছে কমিশন।
সেই সঙ্গে শ্রম অসন্তোষ দূর করতে রপ্তানি খাতের শিল্পের শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন পরিশোধ করার মত অর্থ নিয়ে একটি তহবিল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।
রিকশাওয়ালা, দিন মজুর, জেলে, হকার, গৃহকর্মী বা আয়াদের পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকদেরও আইনি স্বীকৃতি দিতে চায় কমিশন।
এসব সুপারিশ সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করলে দেশের শ্রম পরিবেশ উন্নত হবে বলে মনে করছেন অংশীজনদের একজন।
তবে এক্ষেত্রে সরকারকে শ্রমিক-মালিক সবার স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ তার।