খেলোয়াড় পরিচয়ে সবাই তাঁদের চেনেন সবাই। কিন্তু সেই পরিচয়ের বাইরে তাঁদের অন্য জীবনটা কেমন? সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের সঙ্গে এই ঝটপট প্রশ্নোত্তরপর্বে সেটাই জানার চেষ্টা…
আজকের তারকা: লিটন দাস
তাঁর ব্যাটিং দেখেই ইয়ান বিশপ একবার বলেছিলেন, ‘লিটন দাস ইজ পেইন্টিং আ মোনালিসা হিয়ার’। ১০ বছরের ক্যারিয়ারে লিটন যত রান করেছেন, তার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে যেভাবে তা করেছেন। এখানে সেই লিটনের খেলার বাইরের জগত।
মানুষ লিটন দাসকে নিয়ে একটা রহস্য আছে। নিজেকে গুটিয়ে রাখেন, কথা কম বলেন, খুব মুডি। লিটন মানুষটা আসলে কেমন?
লিটন দাস: খুবই ফ্রেন্ডলি। যে ফ্রেন্ড, তার সঙ্গে ফ্রেন্ডলি। অচেনা মানুষের সঙ্গে একটু দূরত্ব বজায় রাখি। আমার কাছে মনে হয় যে মানুষটা অচেনা, যে মানুষটার সঙ্গে আমার কাজ নেই; আমি তার সঙ্গে কী কথা বলব। বা কেউ যদি আমার কাছে আসে কোনো কথা বলতে…এখন ধরুন, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, আমি কি কাউকে বলব, কেমন আছেন? যদি কেউ আমাকে বলে, ‘ভাই কেমন আছেন’; আমি রিপ্লাই দেব—হ্যাঁ ভাই, ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? ধরুন, আমার যাঁরা ফ্রেন্ড সার্কেল, যাঁরা আমাকে চেনেন, তাঁদের সঙ্গে আমি যতটা ওপেন, স্বাভাবিকভাবেই অচেনা মানুষের সঙ্গে ততটা নয়।
বউয়ের সঙ্গে পরিচয় কবে, কীভাবে?
লিটন: ২০১৪–এর দিকে মনে হয়...ফেসবুকে দেখে একদিন হাই দিলাম, রিপ্লাই এল। কীভাবে, কী দেখে হাই দিয়েছিলাম, মনে নেই। আমি তখন ঢাকায় ছিলাম। আর ও তখন ওর হোম ডিস্ট্রিক্ট মাগুরায় থাকত।
বউয়ের সঙ্গে আপনার তুই–তুই সম্পর্ক জেনে মনে হয়েছিল, আপনারা হয়তো ক্লাসমেট বা বন্ধু। সেটি তাহলে ঠিক নয়?
লিটন: না।
তাহলে তুই–তুই হলো কীভাবে?
লিটন: এটাকে বলতে পারেন দিনাজপুরের অভ্যাস। আমরা বন্ধুদের কাউকে তো তুমি করে বলিই না, চাচা–কাকাদেরও তুই করে বলি। এটা খুবই কমন জিনিস। আমার বড় ভাই আছেন, তাঁকে হয়তো বলি—কিরে, তুই কই গেছিলি। যখন ওর (স্ত্রী) সঙ্গে প্রথম প্রথম পরিচয় হলো, দেখাসাক্ষাৎ হলো, কথাবার্তা হচ্ছে, সম্পর্কটা আস্তে আস্তে ফ্রেন্ডশিপের দিকে এগিয়েছিল। ওখান থেকে তুই–তুই, বিয়ের পরও ওখান থেকে আর ব্যাক করিনি। আমি যখন বাড়িতে যাই, আমার বাবা বলে, নিজের ওয়াইফকে তুই করে বলাটা কেমন, তুমি করে বলো। দু–একবার চেষ্টা করেছি বউকে তুমি করে বলার, কিন্তু তাতে সম্পর্কটা দূরের মনে হয়।
বউ সবচেয়ে ভালো কী রান্না করে?
লিটন: অনেক কিছু্ই। ইদানীং পোলাও ভালো রান্না করে। যদিও ও খুব কম রান্না করে, এটা ওর মুডের ওপর নির্ভর করে। যদি মন চায় হাজব্যান্ডকে খাওয়াবে বা নিজে খাবে, তাহলেই শুধু করে।