
আলুচাষিদের বাঁচাবে কে
বাজারে আলুর দাম এখন উৎপাদন খরচের চেয়ে কম। অন্যদিকে হিমাগারের ভাড়া যেমন বাড়িয়েছেন এর মালিকরা, তেমনি মোট উৎপাদনের তুলনায় হিমাগারের সংখ্যাও অপ্রতুল। তাই জেলায় জেলায় কৃষকের ঘরে-মাঠে-উঠানে কিংবা সড়কের পাশে এখন আলুর স্তূপ।
কৃষকদের আশা ছিল, এবার তারা বেশি দামে আলু বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু লম্বা অপেক্ষার পরও দাম না বাড়ায় জমা করে রাখা আলু গরমে-বৃষ্টিতে পঁচতে শুরু করেছে।
হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কোথাও কৃষকরা রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কোথাও প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে উৎপাদিত আলু গরুকে খাওয়ানোর খবরও এসেছে গণমাধ্যমে।
এমন পরিস্থিতিতে চাষিদের বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে ধান-চালের মতো আলুর ন্যুনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা ও তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আলু কেনা এবং ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য হিমাগারগুলোতে জায়গা সংরক্ষিত রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন লেখক, গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা। পাশাপাশি সংরক্ষণজনিত সমস্যার টেকসই সমাধানে সরকারি উদ্যোগের বাইরে 'অহিমায়িত মডেল ঘর' নির্মাণে সহযোগিতার হাত বাড়াতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
সেইসঙ্গে 'আইন ভেঙে' হিমাগারের ভাড়া বাড়ানোর জন্য মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খোঁজার তাগিদও এসেছে এই গবেষকের কাছ থেকে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- উৎপাদন খরচ
- আলু চাষ