রেলে নিজের ঘরেই ভয়াবহ চোরচক্র

যুগান্তর প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৪

রেলওয়ের নিজের ঘরেই গড়ে ওঠেছে বিশাল চোরচক্র। শুধু মাঠপর্যায়ে নয়, এখন গোডাউনে রাখা মালামালও দেদার চুরি হচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম পাহাড়তলী রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের গোডাউন থেকে কোটি কোটি টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। এমন ঘটনা রেলে প্রায়ই ঘটছে। অভিযোগ-চোরচক্রের মধ্যে ফ্যাসিস্ট আর ফ্যাসিস্টবিরোধীরা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। রাজনৈতিক মদদপুষ্ট রেলওয়ের দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। বরং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে চোরচক্রটি। অর্থাৎ রেলে নিজের ঘরেই চোর-ডাকাত ঘুরে বেড়াচ্ছে। অতি প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করে গোডাউনে আনা, গোডাউন থেকে মাঠপর্যায়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও মালামাল চুরি কিংবা মালামালের ধরন পালটে যাচ্ছে। কখনো ক্রয়কৃত মালামাল ট্রেন-কোচ-ইঞ্জিনে ফিটিং না করেই কাগজ-কলমে উঠানো হচ্ছে-যন্ত্রাংশ লাগানো হয়েছে। এমন অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে উঠে এলেও চুরি বন্ধ হচ্ছে না। কখনো কখনো তদন্ত কমিটি হচ্ছে কিন্তু কমিটির অধিকাংশ রিপোর্ট ভাঁওতায় পরিণত হচ্ছে।


রেলওয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান যুগান্তরকে বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে আমরা দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। রেলে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছি না। সম্প্রতি তেল চুরির ঘটনায় সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরঞ্জাম চুরির ঘটনা নিশ্চয় ভয়াবহ ঘটনা। মজুত সরঞ্জাম ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়ামক। সরঞ্জাম চুরির ঘটনায় সম্পৃক্তদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এসব স্থানে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।


মালামাল চুরির বিষয়ে তদন্ত কমিটির ৫ পাতার তদন্ত রিপোর্ট যুগান্তরের কাছে এসেছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পরিদর্শন) আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত রিপোর্টে বলা হয়-রেলপথ-ট্রেন সচল রাখার জন্য সরঞ্জাম মজুত রাখতে হয়। আর সেই মজুতকৃত মালামাল যখন চুরি হয়ে যায়, তখন উদ্বেগের শেষ থাকে না। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। ওই সময় গোডাউনের ভেতর-বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরার বৈদ্যুতিক লাইন কাটা পাওয়া যায়। গোডাউনের ভেতরে রাখা ১২০০০ ফিট কেবল যা কাঠের বাক্সে ছিল-সেসব চুরি হয়েছে। ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর সিসি ক্যামেরার ভিডিও সংগ্রহ করা হয়। ভিডিওতে ওই দিন ৩ জন দুষ্কৃতকারীকে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দেখা যায়। শাকিল ও শাহিন নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও