একটু বুঝতে শুরু করলেই ছোটদের দুষ্টুমির শুরু হয়ে যায়। এটার যে শেষ থাকে না। অনেক সময় তারা নিজেদের সেই দুষ্টুমি ঢাকতে মিথ্যে কথাও বলে ফেলে। কিন্তু বারবার, কারণে-অকারণে মিথ্যে কথা বলতে থাকলে বিষয়টা চিন্তার। এই পরিস্থিতিতে মা-বাবারা চিন্তিত হয়ে পড়েন।
অনেক সময় মা-বাবা বাচ্চাকে মারাত্মক বকাঝকা করেন। কিন্তু বকাঝকা করলে কাজের কাজ কোনোটিই হয় না, বরং এই সমস্যা মোকাবিলায় ধৈর্য ও সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা জরুরি। কিভাবে কমাবেন সন্তানের এই প্রবণতা, তা জানুন এই প্রতিবেদনে।
শান্ত থাকুন, কারণ বোঝার চেষ্টা করুন
প্রথমেই সন্তানের ওপর রেগে যাবেন না বা অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। শান্তভাবে তার সঙ্গে কথা বলুন। সে কেন মিথ্যে বলছে, পেছনের কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন। অনেক সময় শিশুরা শাস্তি বা বকাবকির ভয়ে, মনোযোগ আকর্ষণের জন্য, বা কোনো কিছু নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে মিথ্যে বলে।
নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করুন
সন্তানকে বোঝান যে সত্যি কথা বললে, এমনকি যদি সে কোনো ভুলও করে ফেলে, তাকে খুব বেশি বকাবকি বা কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে না। সন্তানকে আশ্বস্ত করুন যে আপনি তার সমস্যাটা শুনবেন এবং তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। যদি সত্যি বলার পর সন্তান অতিরিক্ত শাস্তির ভয় পায়, তবে সে মিথ্যার আশ্রয় নিতে পারে।
সত্য বলার গুরুত্ব ও মিথ্যার পরিণতি বোঝান
সন্তানের বয়স বুঝে তাকে বোঝান, কেন সত্যি কথা বলা জরুরি। মিথ্যা বললে কিভাবে বিশ্বাস নষ্ট হয়, সম্পর্ক খারাপ হয় এবং ভবিষ্যতে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে। সন্তান ছোট হলে সহজ উদাহরণ দিয়ে বা গল্পের মাধ্যমে বোঝান। সততার ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন।