কে হচ্ছেন কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?

বিডি নিউজ ২৪ কানাডা ড. মঞ্জুরে খোদা প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৩৫

কানাডার ৪৫তম জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ২৮ এপ্রিল। যদিও এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০ অক্টোবর। কিন্তু বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বের প্রতি বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা এবং নিজ দলের নেতাদের বিদ্রোহের কারণে নেতৃত্বে পরিবর্তন ঘটে। ফলে মার্ক কার্নি সংখ্যালঘু সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন। তিনিও বিরোধীদের অনাস্থার মুখোমুখি হতে পারেন ভেবে সংসদ ভেঙে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে লিবারেল পার্টি টানা ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে।


কানাডায় সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রচলিত। সঙ্গতই সরকার গঠন নির্ভর করে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর। ৩৪৩টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন। এটি না পেলে ঝুলন্ত বা সংখ্যালঘু সরকার গঠিত হয়, যেমনটি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার।


জাস্টিন ট্রুডোর শেষ সময়ে ক্ষমতাসীনদের জনসমর্থন ছিল মাত্র ১৭-১৮ শতাংশ। তবে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রুডোর পদত্যাগ এবং মার্চে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। কার্নির নেতৃত্বে লিবারেলদের জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। মার্চে সিটি নিউজের একটি জরিপে দেখা যায়, লিবারেলদের সমর্থন ৪০ শতাংশ, আর কনজারভেটিভদের ৩৭ শতাংশ।


ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার প্রতি বাণিজ্যিক হুমকি ও কার্নির দৃঢ় প্রতিক্রিয়া এই পরিবর্তনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে কার্নির কঠোর অবস্থান গ্রহণ কানাডিয়ানদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।



লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে আসা মার্ক কার্নি রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না। ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপক। করোনাকালে এবং তার আগে তিনি যথাক্রমে কানাডা ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময় তিনি দক্ষতার সঙ্গে সংকট মোকাবেলা করে দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেন।


এবারের নির্বাচনে ৬টি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে; ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি, প্রধান বিরোধীদল কনজারভেটিভ পার্টি, নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ব্লক কুইবেকওয়া (প্রদেশ ভিত্তিক আঞ্চলিক দল), গ্রিন পার্টি ও পিপলস পার্টি। তবে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত ক্ষমতাসীন লিবারেল ও বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে।


এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো যে ইস্যুগুলোকে সামনে নিয়ে এসেছে সেগুলো হচ্ছে; ১) জলবায়ু পরিবর্তন ও শক্তি সম্পদের ব্যবহার, ২) জীবনযাত্রার ব্যয়, ৩) প্রতিরক্ষা খাত, ৪) বৈদেশিক নীতি, ৫) সরকারের ব্যয় হ্রাস, ৬) স্বাস্থ্য সেবা, ৭) আবাসন সংকট, ৮) অভিবাসন, ৯, অবকাঠামো উন্নয়ন ও ১০) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ও শুল্ক সমস্যার সমাধান বা বিকল্প ভাবনা। এই দশটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এবারের নির্বাচনে।


ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি (মধ্য-বাম) সামাজিক খাতে যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা বলছে। সহনীয় কর ব্যবস্থাপনা তথা ধনীদের ওপর তুলনামূলকভাবে অধিক কর আরোপের পক্ষে তারা। অভিবাসন-বান্ধব সামাজিক নীতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নীতিমালা প্রণয়ন ও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা কার্বন ট্যাক্স প্রয়োগের পক্ষে, সমলিঙ্গ বিবাহ, নারীর অধিকার ইত্যাদির জোরাল সমর্থক।


বিরোধী রক্ষণশীল দলের রাজনৈতিক অবস্থান মধ্য-ডান। তারা ছোট সরকার ও কম করের পক্ষে। ব্যবসা-বান্ধব অর্থনীতি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি সহজ করার পক্ষে। তাদের অভিবাসন নীতি তুলনামূলকভাবে কঠোর। কার্বন ট্যাক্সবিরোধী, তার পরিবর্তে তারা প্রযুক্তিভিত্তিক জলবায়ু নীতি-ব্যবস্থার পক্ষে। আধুনিকতার সমন্বয়ে ঐতিহ্যবাহী সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষাকে তারা অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও