দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল মিরসরাই জাতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল, যার আয়তন প্রায় ৩৪ হাজার একর। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাস্তবায়নাধীন এ উন্নয়নের ধারায় উঠেছে অনেক অভিযোগ। বিনিয়োগ প্রকল্প সচল রাখতে মিলছে না চাহিদা অনুযায়ী পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা। সর্ববৃহৎ এ শিল্প কর্মযজ্ঞে তাই দৃশ্যমান বিনিয়োগ যৎসামান্য। এখনো গড়ে ওঠেনি উল্লেখযোগ্য শিল্প-কারখানা। তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি কর্মসংস্থানেও। অন্যদিকে উপকূলীয় বনাঞ্চল দখল করায় বিপন্ন হচ্ছে প্রাণিকুল। ফলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি। বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনা হয়েছে সামগ্রিক পরিবেশে।
মিরসরাইয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ হাতে নেয়া হয় ২০১২ সালে। চট্টগ্রামের সর্ব উত্তরের উপজেলা মিরসরাই ও ফেনীর সোনাগাজীসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল উপকূলবর্তী চরের ৩৩ হাজার ৮০৫ একর জমির মধ্যে নির্মাণ হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ এ শিল্পাঞ্চল। এর মধ্যে বনের জমি রয়েছে ২২ হাজার ৩৩৫ একর। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বার্থে সৃজিত ও প্রাকৃতিক বনসমৃদ্ধ বিপুল এ জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কাছে হস্তান্তর করেছিল বনবিভাগ। অথচ এ বনে রয়েছে উপকূল রক্ষার বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ছাড়াও নানান প্রাণবৈচিত্র্য। অবকাঠামো উন্নয়নের স্বার্থে এরই মধ্যে এ বনের সাড়ে ১৩ লাখ গাছ কাটা হয়েছে। বিলুপ্ত কিংবা অন্যত্র সরে গেছে প্রাণিকুলও।