সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলতে চেয়েছিলেন—এমন অভিযোগে কারাগারে গেলেন মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মেঘনা আলম। এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ দিয়ে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।
ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মেঘনার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মেঘনা আলম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সামির এবং আরও দুই-তিনজন মিলে গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন।
দেওয়ান সামির কাওয়াই গ্রুপের সিইও এবং সঞ্জনা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক।
গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মেঘনা আলম, দেওয়ান সামির এবং আরও দুজনের বিরুদ্ধে এই প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন।