ধর্মচর্চায় আমেরিকান বৃদ্ধদের সংখ্যাধিক্য কেন

যুগান্তর আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৪

নিউইয়র্ক সিটির পাঁচটি বরোর মধ্যে কুইন্স বরোর জ্যামাইকা অন্যতম মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। সিটির অন্যতম বৃহৎ দুটি মসজিদ বাংলাদেশি-আমেরিকানদের দ্বারা পরিচালিত ‘জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার’ (জেএমসি) এবং পাকিস্তানি-আমেরিকানদের দ্বারা পরিচালিত ‘ইকনা’ (ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা) মসজিদ জ্যামাইকায় অবস্থিত। আমার বাসস্থান থেকে হাঁটাপথে ২ মিনিটের দূরত্বে একটি ছোট মসজিদ আছে। কিন্তু আমি প্রায়ই শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করতে ২৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত ‘ইকনা’ মসজিদে যাই। সেখানে প্রচুর মুসল্লির সমাবেশ ঘটে এবং একসঙ্গে চেনাজানা অনেকের সাক্ষাৎ মেলে। পাকিস্তানিদের দ্বারা পরিচালিত হলেও মসজিদটি বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত বলে মুসল্লিদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। অনেক চেনামুখ, দেখতে দেখতে মুখগুলো পরিচিত হয়ে গেছে। প্রবাসজীবনে একসঙ্গে অনেক চেনামুখের দেখা পাওয়াও বিরাট সান্ত্বনার ব্যাপার। আমার সঙ্গে কথা বলা বা সালাম বিনিময়ের সম্পর্ক আছে গুটিকয়েক মুসল্লির সঙ্গে।


সম্প্রতি এক শুক্রবার ইকনা মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে মনে মনে একটি হিসাব কষে দেখার ইচ্ছা হলো, কোন্ বয়সি লোকজন নামাজ পড়তে আসেন! মসজিদটির ধারণক্ষমতা কম নয়। প্রথম জামাতে বেজমেন্ট, প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলায় নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় এক হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। দ্বিতীয় জামাতে মুসল্লির সংখ্যা কিছু কম থাকে। দরজার কাছাকাছি একেবারে শেষ কাতারে বসায় মুসল্লিদের প্রবেশের সময় চেহারা দেখতে সুবিধা হয়েছিল। দৃশ্যত, ৮০ শতাংশ মুসল্লির বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। কয়েকজনের বয়স একটু বেশি হতে পারে। ৪০ থেকে ৫৯ বছর বয়সের মধ্যে হবে ১৫ শতাংশের। বাদবাকির বয়স ৪০ বছরের নিচে। কিন্তু বিশোর্ধ্ব বয়সি তরুণ মুসল্লির সংখ্যা হাতে গোনা যায়।


এ দৃশ্য সম্ভবত সব ধর্মের প্রার্থনাস্থলের। মানুষের বয়স যত বাড়ে, ধর্মকর্মে তাদের মনোযোগ তত বৃদ্ধি পায়। কম বয়সিরা সম্ভবত মনে করে, তাদের কোনো একটি ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকাই বড় কথা। এর কারণ বের করতে খুব বেশি গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। সব ধর্মবিশ্বাসী তরুণ হয়তো মনে করে, জীবন তো একটাই; আর তরুণ বয়সেই যদি এ নশ্বর জীবনকে উপভোগ করা না যায়, তাহলে জীবনের আর মর্ম কী থাকে! দুনিয়ায় গবেষণার বিষয়ের অন্ত নেই। বৃদ্ধদের ধর্মে মতি ফেরা নিয়েও গবেষণা রয়েছে। পৃথিবীতে এমন কোনো বিষয় নেই, যার ওপর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করা হয় না অথবা জরিপ বা সমীক্ষা চালানো হয় না। মুসলমানদের সব গৌরব যেহেতু অতীতের, অতএব তারা এসব নিয়ে গবেষণার ধার ধারে না।


তাছাড়া বহু মুসলমানের প্রচলিত ধারণা হলো, পাপকর্ম যত শাস্তিযোগ্য হোক না কেন, ‘তওবা’ করলে ‘মহাপাপ’ পর্যন্ত মার্জনাযোগ্য। অতএব অনেক মুসলমান হরহামেশা ছোটখাটো পাপ করাকে ঐশীভাবে শাস্তিযোগ্য বলে বিবেচনা করে না। কারণ জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে কেউ হয়তো তাদের তালিম দিয়েছেন, মহান সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, যার ৯৯টি নামের মধ্যে দু-একটি ছাড়া সবগুলোর মর্মার্থ তার সৃষ্ট আশরাফুল মখলুকাত অর্থাৎ মানুষের অনুকূলে, অতএব ‘তওবা’য় ছাড় পাওয়া যাবে। বোখারি ও মুসলিম শরিফে লিপিবদ্ধ হাদিস অনুসারে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নামগুলো সম্পর্কে জানবে, বুঝবে এবং উপলব্ধি করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ ‘তওবা’য় মার্জনা লাভ এবং জান্নাতে প্রবেশের এত সহজ উপায় থাকলে পাপকর্ম বন্ধ হওয়ার তেমন সম্ভাবনা থাকে না। ‘চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনি’-এ প্রবাদই সদর্পে প্রতিষ্ঠিত। তাই পাপাচার বন্ধ হয় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও