জিওগেমে বাংলাদেশ : সক্ষম সেনাবাহিনীর আবশ্যকতা

কালের কণ্ঠ মোস্তফা কামাল প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯

কানে পানি না গেলে বা চোখে ছানি না পড়লে কারো পক্ষে বোঝা কঠিন নয় যে বাংলাদেশ এখন বিশ্বরাজনীতির দ্য গ্রেট গেম প্ল্যানিংয়ের শুধু দর্শক নয়, গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন তথা প্লেয়ারও! এর কারণ গ্লোবাল জিওপলিটিকস ও ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান। আসছে দিনগুলো অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষার লড়াইয়ের সন্ধিক্ষণও। তা আরো স্বচ্ছ বা পরিষ্কার হবে কিছুদিনের মধ্যেই। তখন হাড়ে হাড়ে মালুম হবে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের স্মারক সশস্ত্র বাহিনীর কী উপযোগিতা? কেবল দলীয় রাজনীতি আর ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত থাকাদের তখন নতুন উপলব্ধি হবে। বুঝবেন দেশের গ্লোবাল পজিশনিং নির্ধারণ কাকে বলে!


সেই জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন সুচতুররা তাই আগাম কাজ হিসেবে এবারের পটপরিবর্তনে সেনাবাহিনীর জনসম্পৃক্ততার মেলবন্ধনে মাঝেমধ্যেই খোঁচা দিচ্ছে। ফাঁদ পেতে রেখেছেই বাহিনীটির অনন্য নজিরকে বানচাল করার। কেউ দেশে, কেউ ভিনদেশে বসে এই খোঁচায় শরিক হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভর করে ছড়াচ্ছে বাহিনী ও বাহিনী প্রধানকে নিয়ে কিচ্ছা।


তাদের রিচ, হিট বা ভাইরাল হওয়া দিয়ে কথা। যখন যেটি সামনে পায়, সেটি নিয়েই কনটেন্ট ব্যবসার কনটেইনার খোলা এই চক্রবিশেষ অপ্রাসঙ্গিক-অবান্তরভাবে সেনাবাহিনীকেও টেনে আনছে।  সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নামাজ পড়েন কেন, নামাজ পড়ান কেন, কথা বলার সময় আঙুল তোলেন কেন, চোখ ঘোরান কেন, চশমার ফাঁক দিয়ে দেখেন কেন, এত সতর্ক করেন কেন, সরকারপ্রধানকে নাম ধরে ডাকেন কেন—এ রকম বহু কেন তাদের। প্রতিটি কেন দিয়েই সাবজেক্ট, আইটেম, কনটেন্টের হাটবাজার।


তাদের উদ্দেশ এরই মধ্যে পরিষ্কার। দুর্বল সেনাবাহিনী ভীষণ কাম্য তাদের কাছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্রমেই শক্ত-সামর্থ্যবান হয়ে ওঠা, জনসম্পৃক্ততা, বাহিনীতে এবং দেশে সেনাপ্রধানের জনপ্রিয়তা তাদের কাছে বেশ অ্যালার্মিং। তাঁর নেতৃত্বে গ্লোবাল জিওপলিটিকস ও ইন্টারন্যাশনাল গ্রেট গেমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বড় ফ্যাক্টর হয়ে ওঠার একটি রিহার্সাল হয়ে গেছে এবারের জুলাই-আগস্টে, যা দেশবিরোধী শক্তির কাছে অসহ্য। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডাররা যখন গুলি করে ছাত্র-জনতাকে মেরেছে, সেনাবাহিনী তখন শুধু ‘নো ফায়ার’ নীতিই নেয়নি, আহত হাজার হাজারকে সিএমএইচে চিকিত্সা দিয়েছে। শত শত জনকে মেজর-মাইনর অপারেশন করেছে।


সেনাবাহিনীকে দেশের চাকর বা প্রজাতন্ত্রের অন্য সব কর্মচারীর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলার একটি সূক্ষ্ম চাতুরীও বেশ চলছে। জেনে-বুঝেই এই কাজটি করানো হচ্ছে একটি গ্রুপকে দিয়ে। এ দুষ্টকর্মের আয়োজকরা কিন্তু ঠিকই জানে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংবিধানের আওতায় নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কী ভূমিকা? কিভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক? কোন সমীকরণে সেনাবাহিনী জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনতার সারথি হয়েছে? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের চাকর নয়, সরকারের অংশও নয়। বরং সার্বভৌমত্বের অংশ। এসব জেনে-বুঝেই অনবরত ডিস্টার্বে এই সেনাবাহিনীর মনোবল ভাঙা বা চটানোর ব্যাপক আয়োজন। তা করতে পারলে মহলবিশেষের খেলা জমে। উল্লেখ করার মতো বিষয়, ম্যাজিস্ট্রেসি নিয়ে মাঠে থাকা সৈনিক তথা সাধারণ সেনা সদস্যদের মাঝেও এসংক্রান্ত ব্যাপক সতর্কতা। কোনো গুজবে বা উত্তেজনায় হেলানো যাচ্ছে না তাদের। কোথাও বল প্রয়োগে যাচ্ছে না তারা। দাপটে মাঠ কাঁপাচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গত ২০ জুলাই থেকে মাঠে থেকে কাজ করছে সেনাবাহিনী। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদবির কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। এলাকাভেদে মাঠে কর্মরত সেনা সদস্যদের সমন্বয় সেল আছে, যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিয়মিতভাবে সমন্বয় করে। সেনা সদর পর্যায়ে এবং উপদেষ্টামণ্ডলী পর্যায়ে এই সমন্বয় হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও