ঝুঁকিতে হাজারো ট্রাভেল এজেন্সি

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৮

গ্রাহক হয়রানি প্রতিরোধে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি খসড়া পরিপত্র তৈরি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। নতুন পরিপত্রের মূল বিষয় হচ্ছে, এক ট্রাভেল এজেন্সি আরেক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। এটি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের আশঙ্কা, এই পরিপত্র বাস্তবায়ন করা হলে কয়েক হাজার ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হয়ে যাবে। গ্রাহকদেরও বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।


বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন খসড়া পরিপত্রের (ণ)-ধারাতে বলা হয়েছে, ‘এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না।’ এই সিদ্ধান্তটি সরাসরি প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৭৪৬টি লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির ওপর। বর্তমানে দেশে যেসব ট্রাভেল এজেন্সি ছোট আকারে ব্যবসা পরিচালনা করে, তারা মূলত বড় এজেন্সির ওপর নির্ভরশীল থাকে টিকিট ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য। সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত এখন ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে। যাঁদের কম্পিউটার আছে, তাঁরাও সাব-এজেন্টের মাধ্যমে কমিশনভিত্তিক টিকিট বিক্রির এই ব্যবসা করছেন। পরিপত্রটি বাস্তবায়িত হলে ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে পড়বে।


খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিপত্রের খসড়ায় ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের কথা বলা হলেও মূলত এতে বন্ধ হবে ৫ হাজারের বেশি ট্রাভেল এজেন্সি, বেড়ে যাবে গ্রাহক হয়রানি। উড়োজাহাজের টিকিট বিক্রিতে তৈরি হবে মনোপলি, ইচ্ছেমতো বাড়ানো হবে টিকিটের দাম।


বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল ব্যবসায় ‘এজেন্ট টু এজেন্ট’ (বিটুবি) মডেল প্রচলিত। যেখানে একটি ট্রাভেল এজেন্সি অন্য একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি বা ক্রয় করতে পারে। বাংলাদেশে এই নিয়মের প্রয়োগ না হলে ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও