You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জবাবদিহি নিশ্চিত করাই প্রধান সংস্কার

‘সংস্কার’ শব্দটি এখন ভীষণভাবে আলোচিত। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, তার মধ্যে ছয়টি কমিশন এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে— যেগুলো জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

সংবিধান, সংসদ, নির্বাচন, জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য প্রতিটি কমিশনই অনেকগুলো সুপারিশ দিয়েছে। সবগুলো সুপারিশের বিষয়ে যে রাজনৈতিক দলগুলো একমত নয়, সেটিও লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে বিএনপি অনেকগুলো সুপারিশের বিষয়ে তাদের ভিন্নমত স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে। মত ও ভিন্নমতের এই সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করাও একটি বড় সংস্কার।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার হচ্ছে জবাবদিহির সংস্কৃতি চালু করা। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধি ও জনকর্মচারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।

‘জবাবদিহি’ কাকে বলে সেটি বোঝার জন্য ইউটিউবে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ক্যাশ প্যাটেল (এফবিআই প্রধান), তুলসী গাবার্ড (ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক), জন র‍্যাটক্লিফ (সিআইএ প্রধান) এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এডমিরাল ক্রিস্টোফার গ্রেডির জবাবদিহির উদাহরণটি দেখা যেতে পারে।

আমাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলোয় অনেক ভালো এবং দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশের কথা বলা হলেও জবাবদিহি নিশ্চিতের বিষয়টি সেভাবে এসেছে বলে মনে হয় না।

জবাবদিহি মূলত তিনটি প্রশ্নের মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব।

১. কেন জবাবদিহি প্রয়োজন? চাহিদা ও প্রাপ্তির মধ্যে যে ফারাক তা জানা প্রয়োজন। পরিকল্পিত কাজ এবং তা বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ জনসাধারণের জানার অধিকার থেকেই জবাবদিহি প্রয়োজন।

২. জনগণ কখন জবাব চাইবে? যখনই মনে হবে বা উদ্‌ঘাটন হবে যে অফিস হোল্ডার বা একজন জনপ্রতিনিধি বা জনকর্মচারী তার দায়িত্বে অবহেলা করছেন, তখনই জবাবদিহি চাইতে হবে। সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। সেই হতে পারে মাসভিত্তিক অথবা তিন মাসে একবার।

৩. জবাবদিহির মাধ্যমেই পাবলিক অফিস হোল্ডারদের কাজের ফলাফল এবং তাদের যোগ্যতা বিচার করা সম্ভব। জবাবদিহিই তাদের কাজের ফলাফল পরিমাপের উপায়। এমনকি কী কারণে প্রাপ্ত ফলাফল আশানুরূপ হচ্ছে না, তা জেনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তাও দেয়া যেতে পারে।

কোথায় এই জবাবদিহি নেওয়া হবে?

জাতীয় পর্যায়ে নতুন সংস্কার ব্যবস্থায় সংসদের উচ্চকক্ষের সামনে সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিধারী ব্যক্তি যেমন সকল সচিব, অধিদপ্তর প্রধান, বাহিনীপ্রধান, গোয়েন্দা প্রধান, গ্রেড-১ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন।

জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, জেলা সদরের সকল সরকারি অফিস হোল্ডার, সিটি ও পৌর মেয়র এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এজন্য প্লাটফর্ম হতে পারে জেলা পরিষদ।

উপজেলা এবং এর নিচে সকল পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং পাবলিক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এই পর্যায়ে এ সুধীজন বা নাগরিক সমাজের একটি প্যানেল থাকতে পারে, যারা সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তারা এমনকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও হতে পারেন বা অরাজনৈতিক। তবে এই প্যানেলে যারা থাকবেন, দায়িত্ব পালনকালে তারা যথাসম্ভব নিরপেক্ষ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। তাদের ব্যক্তিজীবনের আর্থিক সততার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন