১০০ বছরের যুদ্ধেও প্রাণ যায়নি এত সাংবাদিকের!

ঢাকা পোষ্ট গাজা রাহাত মিনহাজ প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৯

সাংবাদিকতার তত্ত্ব কথায় ‘হোয়াইট কলার জব’ (A white-collar job) বলে একটি আলোচনা আছে। তাতে বিভিন্ন তাত্ত্বিক, পেশাদার সাংবাদিক ও গবেষক বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন, সাংবাদিকতা কোনো অবস্থাতেই ‘হোয়াইট কলার জব’ নয়।


মানে সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়রন করা পরিপাটি শার্ট পরে অফিসে যাওয়া, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আরাম কেদারায় কাজ করা একজন প্রতিবেদকের নিত্যদিনের দায়িত্ব নয়। বরং এর বিপরীতে দুর্যোগ, দুর্বিপাক, যুদ্ধ, দাঙ্গা, সংঘাতসহ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত তথ্য, ভিডিও এবং ছবি সংগ্রহ করাই একজন পেশাদার সাংবাদিকের কাজ।


যে কাজে পদে পদে থাকতে পারে মৃত্যু ঝুঁকি। কিন্তু তারপরও পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে, মানুষকে তথ্য জানানোর নেশা থেকে, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ব্রত থেকে সংবাদকর্মীরা প্রতিদিন মৃত্যু ভয়কে তুচ্ছ করে বিপদসংকুল এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন।


বুলেট-বন্দুক-বোমার আঘাতে প্রাণও হারাচ্ছেন অকাতরে। পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রাণ বিসর্জনের এই মহতী মৃত্যুযাত্রায় নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন গাজার সাংবাদিকরা।


সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (Committee to Protect Journalists)-এর তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর ইতিহাসে এর আগে এত সাংবাদিক কোনো সংঘাতে প্রাণ হারাননি। বর্বর ইসরায়েলের নিষ্ঠুর আক্রমণের খবর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এখনো পর্যন্ত এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭৫ জন সংবাদকর্মী, যাদের মধ্যে ১৬৭ জন ফিলিস্তিনি, ৬ জন লেবানিজ ও ২ জন ইসরায়েলি।


মৃত্যুর এই পরিসংখ্যান বিশ্বের যেকোনো সংঘাতে সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এই যুদ্ধে আহত হয়েছেন আরও ৯১ জন সাংবাদিক। সংঘাতের ভেতরে এখনো ২ জন সাংবাদিক নিখোঁজ রয়েছেন। ৮৩ জন সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েলি সেনারা।


এছাড়া বর্বর এই হত্যাযজ্ঞের সংবাদ কাভার করতে গিয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। তারা গুরুতর মানসিক ট্রমায় ভুগছেন।


অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ওয়াটসন ইন্সটিটিউট জানাচ্ছে, গাজা যুদ্ধে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৩ জন প্রতিবেদন ও সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। যা দুইটি বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, যুগোস্লাভিয়ায় গৃহযুদ্ধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগান যুদ্ধের সম্বিলিত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী হতাহতের চেয়েও বেশি।


আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, সাধারণত যুদ্ধ ও সংঘাত কবলিত এলাকায় সংবাদকর্মীরা বিশেষ নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের সংঘাতের বাইরে রাখতে সব পক্ষই চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের সুরক্ষা তো দূরের কথা, রীতিমতো লক্ষ্য করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি সর্বাত্মক যুদ্ধের আগেও এমন বর্বরতা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।


২০২২ সালের ১১ মে আল-জাজিরার প্রতিবেদক শিরিন আবু আকলেহ (Shireen Abu Akleh)কে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছিল আইডিএফ সেনারা। জেনিন শরণার্থী শিবিরে একটি অভিযানের সংবাদ সংগ্রহের সময় শিরিনের এই হত্যাকাণ্ড চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও