এই লুটপাটের সংস্কৃতি আমাদের নয়

কালের কণ্ঠ অদিতি করিম প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৮

গাজা এখন জ্বলছে। সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে গাজায় চলছে নারকীয় গণহত্যা, তাণ্ডব। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের এক নিকৃষ্টতম উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায়। গাজায় এই গণহত্যার প্রতিবাদ হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।


সারা বিশ্বেই শান্তিকামী মানুষ এই গণহত্যা ও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আহ্বান জানিয়েছে। সারা বিশ্বে গত সোমবার ৭ এপ্রিল পালিত হয়েছে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি। গাজার গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে পালিত এই কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশও।


বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার বন্ধ ছিল। দেশজুড়ে হয়েছে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ। কিন্তু এই প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভে কিছু সুযোগসন্ধানী বিভিন্ন স্থানে দোকানপাটে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। একটা ভালো কাজ কিভাবে কিছু খারাপ মানুষের জন্য নষ্ট হয় তার এক নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি হলো গত ৭ এপ্রিল।এসব ঘটনা কোনোভাবেই ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভের প্রকাশ নয়, বরং যারা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে তারা খুব সুস্পষ্টভাবে অপরাধী, সুযোগসন্ধানী এবং লুটেরা। এরা দুর্বৃত্ত, অপরাধী। এই ধ্বংসাত্মক তৎপরতায় না পবিত্র ইসলাম ধর্মের প্রতি সুবিচার করা হয়েছে, না গাজাবাসীর প্রতি জানানো হয়েছে সহানুভূতি। এভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙচুর, লুটপাট বরং বিশ্বজুড়ে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করবে। যারা এসব অপকর্ম করেছে তারা শুধু বাংলাদেশের ক্ষতি করেনি, পবিত্র ধর্মকে অবমাননা করেছে।


বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপ্রিয়। বাংলাদেশের জনগণ হিংসা ও হানাহানি অপছন্দ করে। একে অন্যের সঙ্গে মমতার বন্ধনে থাকতে চায়। কিন্তু যখন এ দেশের মানুষ প্রতিবাদে মুখর হয় তখন তার অধিকার আদায়ের জন্য জীবন উৎসর্গ করে। এ দেশের মানুষ বারবার এটা প্রমাণ করেছে। কিন্তু কোনো কিছু লুটপাট করা, দুর্বৃত্তায়ন ইত্যাদি আমাদের সংস্কৃতি নয়। বরং অন্যের আমানত হেফাজত করাই আমাদের ঐতিহ্য। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, সাম্প্রতিক সময়ে এই লুটপাটের প্রবণতাগুলো ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু সুযোগসন্ধানী দুর্বৃত্ত তৈরি হয়েছে, যারা সুযোগ পেলেই বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, হামলা করছে এবং ভাঙচুর করছে। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের সময় থেকেই আমরা এই দুর্বৃত্তদের অপতৎপরতা লক্ষ করছি। সাধারণ মানুষ এতে বিরক্ত। তারা এই ঘৃণ্য তৎপরতাকে ঘৃণা করে। ৫ আগস্টের পর আমরা দেখলাম কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষ বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাল। তারা টার্গেট করে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে লুটপাট করল। একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ থাকতেই পারে। ব্যক্তির দুর্নীতি, গণহত্যা বা বিভিন্ন অপরাধের বিচার আইনের বিষয়। যখন কোনো ব্যক্তিকে অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় তখন তার বিচারের জন্য নির্দিষ্ট আইন আছে। এই আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু বিচার নিজের হাতে তুলে নেওয়া এবং বিচারের নামে তার ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করা কোনো সভ্য সমাজের কাজ নয়। এটি যারা করেছে তারা শুধু অসভ্য বর্বর নয়, তারা দেশদ্রোহীও বটে। এরা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর। এই রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও