সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরের পর হাওরে দুলছে বোরো ধান। বিচ্ছিন্নভাবে কাটাও শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পুরো ধান কাটা শুরু করবে কৃষক। গোলায় ধান তোলার স্বপ্ন নিয়ে এখন তারই প্রস্তুতি চলছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধান সবুজের খোলস ছেড়ে হাল্কা হলুদের রূপ নিচ্ছে। তারপরেই ছড়াবে সোনালী আভা। আগামী সপ্তাহেই সারাজেলায় ধান কাটা শুরু হবে। পহেলা বৈশাখ আনুষ্ঠানিকভাবে হাওরের বোরো ধান কাটা উদ্বোধন করবে কৃষি বিভাগ।
বোরো ধানের সঙ্গে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের সম্পর্ক ওতপ্রতভাবে জড়িত। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকবে। তবে ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ধান কাটার চূড়ান্ত মুহূর্তে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত ধান কাটার তাগিদও দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের ১৩৭টি হাওরের প্রায় দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ হেক্টরে চাষ হয়েছে। চার লাখ পরিবারের প্রায় ১০ লাখ চাষি বোরো চাষে জড়িত বলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা আজাদ বলেন, “এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। আমরা মাসখানেক আগেই সরকারি ভর্তুকিতে দেওয়া ধান কাটার যন্ত্রগুলো তথ্য উপজেলা থেকে নিয়ে এসে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে মেরামত করে দিতে বলেছি।
“এ ছাড়া স্থানীয় প্রায় ৫৫ হাজার শ্রমিকসহ বাইরের জামালপুর, ময়মনসিংহ থেকে কিছু শ্রমিক ও বাইরের জেলা থেকে আরো প্রায় ২৩৬টির মত মেশিন ধান কাটার জন্য আসবে।”