এমন ঈদ বারবার আসুক

প্রথম আলো ড. আমিনুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৫০

একটা গণ–আন্দোলন সফল হওয়ার পর গত বছরের আগস্ট মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পায়; দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রত্যাশার কোনো অন্ত ছিল না। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর বিগত স্বৈরচারী শাসকের অধীনে থাকতে থাকতে মানুষ অনেকটা ভুলতেই বসেছিল রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিক জীবনে চাওয়া-পাওয়া অথবা প্রত্যাশার জায়গা বলেও কিছু একটা আছে।


মানুষের ওপর যা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এক অর্থে সাধারণ নাগরিকদের সেটা মেনে নিতে হয়েছে। হঠাৎ এক রাতের মধ্যে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়া কিংবা বেগুনের ঊর্ধ্ব মূল্য এসব আমরা দেখেছি।


রোজার সময় তৎকালীন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা গেছে, বেগুনের দাম বেড়ে যাওয়ায় যারা ইফতারে মুখরোচক খাবার তৈরি করতে পারছেন না, তাঁরা বিকল্প সবজি হিসেবে মিষ্টিকুমড়া দিয়ে বেগুনি বানাতে পারেন।


মাংসের দাম বেড়ে গেলে কাঁঠাল দিয়ে বার্গার বানানোর রেসিপি দেওয়ার গল্পও আমরা শুনেছি। সেই বার্গার খেতে নাকি মাংসের মতোই! জনগণকে নিয়ে এভাবেই ঠাট্টা করতে দেখা গেছে বিগত আমলের মন্ত্রী-এমপিদের।


কোথায় তাঁদের উচিত ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা কিংবা না পারলে অক্ষমতা প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়া। সেটা না করে এসব দাম্ভিক কথা বলে বেড়াতে দেখা গেছে নিয়মিত। এর একটা অন্যতম কারণ হয়তো ছিল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। তাঁরা যখন ইচ্ছা নিজেদের মতো করে দাম বাড়িয়ে দিতে পারতেন। সরকারের কারও হয়তো কিছু বলার ছিল না। কারণ, তাঁরা নিজেরাও হয়তো সেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।


বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের সব খাতের মানুষ একের পর এক নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে হাজির হতে থাকেন। নানা রকম আন্দোলন আমরা দেখেছি। হয়তো দীর্ঘদিনের জমে থাক ক্ষোভ ও বলতে না পারার জায়গা থেকেই এসব আন্দোলনের জন্ম হয়েছে। কেউ হয়তো তাঁদের কথা শুনতে চায়নি। তাই এবার যখন সুযোগ পেয়েছে, সবাই নিজেদের দুঃখ-কষ্টের কথা হয়তো সরকারকে জানাতে চেয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও