
ফিলিস্তিন নিয়ে আরব বিশ্বের নীরবতা বিশ্বাসঘাতকতা, নাকি দুর্বলতা
আরব দেশগুলোর ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে আপাত নীরবতা একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং ঐতিহাসিক কারণ। স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের দাবি এবং বাসিন্দাদের ওপর এই দীর্ঘ নিপীড়ন নিয়ে যে আরব দেশগুলো কিছুই করছে না, বা নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকছে—এই ধারণাটা পুরোপুরি সঠিক নয়। অনেক আরব দেশই ফিলিস্তিনকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে অথবা কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে।
তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব দেশগুলোর সম্পৃক্ততার মাত্রা খুবই ভিন্ন। তাদের সম্পৃক্ততা বা পদক্ষেপগুলো, ফিলিস্তিনকেই আরবের কেন্দ্র বা শুধুই মুসলিম–ইহুদি ইস্যু হিসেবে যারা দেখেন, তাঁদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কমই। এর কারণগুলোর একটি ধারণাচিত্র দেওয়া হলো:
জাতীয় স্বার্থ এবং ভূ–রাজনৈতিক অগ্রাধিকার
অনেক আরব সরকার ফিলিস্তিন নিয়ে সাহসী অবস্থান নেওয়ার চেয়ে নিজেদের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। উদাহরণস্বরূপ, মিশর এবং জর্ডানের মতো দেশ, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এবং ১৯৭৯ ও ১৯৯৪ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী, তারা প্রায়ই এমন বক্তব্য বা পদক্ষেপ এড়িয়ে চলে যা চুক্তিগুলোকে বিপন্ন করতে পারে। এই চুক্তিগুলো তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক সুবিধা দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো, মার্কিন সাহায্য। দেশগুলো এই মার্কিন সহায়তার ওপর অনেকাংশ নির্ভরশীল। ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ালে এসব দেশের শাসকগোষ্ঠী অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার মধ্যে পড়তে পারে, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ যেমন: অর্থনৈতিক সংকট বা রাজনৈতিক অস্থিরতার এর মধ্যে অন্যতম।