
চা-বাগান, বন-ছড়া হুমকিতে ফেলে বালু উত্তোলন চলছেই
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে প্রকাশ্যে তোলা হচ্ছে বালু। এতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চা-বাগান, পাহাড়ি ছড়া, সংরক্ষিত বন ও ফসলি জমি, তেমনি ক্ষতি হচ্ছে রাস্তাঘাটেরও। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালালেও কার্যকর স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেই।
চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি, পঞ্চাশ, ডেউয়াতলী এবং সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের দেওছড়া ও ইছালিয়া ছড়া এলাকা থেকে তোলা হয় বালু। পানছড়ি এলাকার রঘুনন্দন পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উত্তোলনের ফলে সংরক্ষিত বনটিও পড়েছে ঝুঁকিতে। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন মামলা করলেও অপরাধীরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও চালিয়ে যাচ্ছে বালুর ব্যবসা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনীতিবিদেরা ছাড়াও এসব চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা জড়িত। চক্রগুলো অবৈধভাবে পাচার করছে মূল্যবান সিলিকা বালুও।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত স্থানীয় আসমত উল্লার ছেলে আমজত উল্লাহ। একই এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত রয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া, মাহফুজ মিয়া, বাবলু মিয়াসহ কয়েকজন। এ ইউনিয়নের পঞ্চাশ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় নানু মিয়ার ছেলে আসাদ। মহিমাউড়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন একই এলাকার বজলু মিয়া ও শামীম মিয়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বালু উত্তোলন করেন এই ব্যক্তিরা। এই বালু শাহপুর সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে পাচার করা হয় মাধবপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। সূত্র জানায়, লালচান চা-বাগান এবং রঘুনন্দন রেঞ্জের কিছু অসাধু বন কর্মকর্তাকে মাসোহারা দিয়ে এই বালু বন ও বাগানের ভেতর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- অবৈধ বালু উত্তোলন