
ভর্তুকি বাড়িয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা বাংলাদেশের
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি, লুণ্ঠন বন্ধ এবং বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের দাবি ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দুর্নীতি ও আর্থিক চাপ কমাতে শুরুতেই এ খাতের বিশেষ আইন স্থগিত এবং পরে বাতিল করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যুতের ক্রয়চুক্তি পর্যালোচনা, ট্যারিফ সংশোধনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের আট মাস পেরিয়ে গেলেও এ উদ্যোগে বিদ্যুতের সামগ্রিক ব্যয় যেমন কমেনি, তেমনি ভোক্তার বিদ্যুৎ খরচও কমানো যায়নি। এমনকি বিদ্যুতের কোনো ক্রয়চুক্তিও বাতিল করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার।
বিদ্যুৎ খাতে পাকিস্তান সরকারের মতো ভোক্তামুখী পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে এ খাতের ব্যয় কমানো যাচ্ছে না বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা দাবি করেন, সরকারের বিদ্যুৎ খাতে নেয়া পদক্ষেপগুলো জনকল্যাণমুখী নয়। একই সঙ্গে তাদের সদিচ্ছারও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। পুরনো ও আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া বিদ্যুৎ খাতের মডেল অব্যাহত থাকায় এ খাতের স্থিতিশীলতা আনতে ভর্তুকিকে সমাধান বিবেচনা করা হচ্ছে।